Advertisement
Advertisement

OMG! জাপানের এই শহর মা লক্ষ্মীর নামে!

কী সেই শহরের নাম?

Japanese city named after Hindu goddess Lakshmi
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:August 13, 2018 2:36 pm
  • Updated:August 13, 2018 9:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় দেবদেবীরা বিদেশের মাটিতে অনেক দিন আগে থেকেই পূজিত হন। তাই এ কোনও নতুন তথ্য নয়। তাই বলে দেবদেবীর নামে শহরের নামকরণ? অবাক হচ্ছেন? সত্যিই এমন শহর রয়েছে জাপানে। দেবী লক্ষ্মীর নামে জাপানের একটি শহরের নামকরণ করা হয়েছে। রাজধানী টোকিয়োর কাছেই রয়েছে ছোট্ট শহর কিছিজোই। জাপানি ভাষায় কিছিজোই-এর অর্থ হল লক্ষ্মী। ভারতের সঙ্গে জাপানের যে ধর্মীয় যোগসূত্র রয়েছে, এই নামই তার নিদর্শন। বেঙ্গালুরুর দয়ানন্দ সাগর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে পড়ুয়াদের একথাই বললেন জাপানের কনস্যুয়েল জেনারেল তাকায়ুকি কিটাগাওয়া।

 [সংসদীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন সোমনাথ, টুইটারে শোকপ্রকাশ মোদি-মমতার]

Advertisement

তিনি বলেন, দেবী লক্ষ্মীর নামে একটি আস্ত শহর রয়েছে টোকিয়োর কাছাকাছি। ভারতীয় দেবদেবীদের মধ্যে অনেকেই জাপানের মাটিতে পূজিত হন। হিন্দু দেবদেবীদের প্রচুর ভক্তও রয়েছে সেখানে। সংস্কৃতি, ভৌগোলিক, আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে বিবিধ পার্থক্য থাকলেও ভারতীয় দেবদেবীরা জাপানের বেশিরভাগ মন্দিরেই অধিষ্ঠিত। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জাপানিজ স্ক্রিপ্টের সাদৃশ্য হয়েছে। ভাষাগত মিলও চোখে পড়ার মতো। তাই দীর্ঘকাল ধরে সূর্যোদয়ের দেশের ‘আপনজন’ ভারতীয়রা। উদাহরণের তালিকায় রয়েছে খাবারও। জাপানিদের সিগনেচার ডিশ সুসি ভাত ও ভিনিগার দিয়ে তৈরি। ‘সারি’র সঙ্গে যোগ রয়েছে সুসির। এই ‘সারি’র সংস্কৃত অর্থ ‘জালি’। প্রায় ৫০০টি জাপানিজ শব্দবন্ধের সঙ্গে তামিল ও সংস্কৃতের মিল রয়েছে। তাই ভারতীয় সংস্কৃতিই শুধু নয়, এদেশের ভাষারও বিরাট প্রভাব রয়েছে জাপানের উপরে। জাপানি ধর্মানুরাগের বেশিরভাগটাই ভারতীয়দের অনুকরণে।

[মর্মান্তিক! নয়ানজুলিতে গাড়ি উলটে মৃত একই পরিবারের সাত শিশু]

অনুষ্ঠানে কন্নড় ভাষাতেই বক্তব্য রাখেন কনস্যুয়েল জেনারেল। যা শুনে মুগ্ধ উপস্থিত অতিথি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে এহেন সাদৃশ্যকেই কাজে লাগাতে চেয়েছে জাপান সরকার। তাই ভারতের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজও শুরু হয়েছে। জাপানি ভাষা শিখে যাতে সেদেশের বাজারে ভারতীয়দের জন্য চাকরির সুযোগ বাড়েও তাও দেখা হচ্ছে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই চুক্তি সেরে নিয়েছে জাপান সরকার ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জাপানের বাজারে কারিগরি বিদ্যায় শিক্ষিতদের বিপুল হারে চাহিদা রয়েছে। সেদেশের ভাষা জেনে গেলে ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও চাকরির সুযোগ বাড়বে। উন্মুক্ত হবে নয়া ক্ষেত্র।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement