Advertisement
Advertisement
অনুপ্রবেশ

অনুপ্রবেশের সময় বিএসএফের গুলি, জম্মুতে মৃত সন্দেহজনক পাক নাগরিক

মৃতের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করছে বিএসএফ।

Jammu: Suspected Pakistani intruder shot dead by BSF personnel

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 15, 2019 3:05 pm
  • Updated:July 15, 2019 3:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। সন্দেহজনক ওই পাকিস্তানি নাগরিকের নাম বা পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের সম্বা জেলার এসএম পুরা সীমান্তের আউটপোস্ট এলাকায়।

[আরও পড়ুন- বিজেপি বিধায়কের জামাইকে অপহরণের চেষ্টা, প্রাণহানির আতঙ্কে কাঁটা স্ত্রী]

Advertisement

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত তিনটে নাগাদ এসএম পুরা সীমান্তের আউটপোস্ট দিয়ে ৬০ বছরের ওই বৃদ্ধ ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। সীমান্তের ওপারে কাঁটাতারের পাশে অনেকক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে সতর্ক করেন বিএসএফ জওয়ানরা। আত্মসমপর্ণ করার পরামর্শও দেন। কিন্তু, তাঁদের নিষেধ না শুনে কাঁটাতার টপকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল সে। বারবার নিষেধ করলেও কোনও কথা কানে দিচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে গুলি চালান কর্তব্যরত বিএসএফ-এর ৬২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। এর জেরে মৃত্যু হয় ওই পাকিস্তানি বৃদ্ধের। বর্তমানে মৃতদেহটি এসএম পুরা সীমান্তের আউটপোস্টে রাখা হয়েছে। পুরো ঘটনাটির তদন্তও করা হচ্ছে।

এদিকে, রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরে অনন্তনাগে ন্যাশনাল কনফারেন্সের বৈঠকে হামলা চালায় তিন জঙ্গি। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে এনসি নেতা সৈয়দ তওকিরের দেহরক্ষী এক পুলিশ কনস্টেবলের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ওই বৈঠকে চলাকালীন আচমকা হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের তিন জঙ্গি। বৈঠকের মধ্যে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। তাদের লক্ষ্য ছিল, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ তওকির। কিন্তু, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে জখম হন দেহরক্ষী রিয়াজ আহমেদ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

[আরও পড়ুন- ফের কর্ণাটক ইস্যুতে নাটক, ‘নিরাপত্তার অভাবে’ পুলিশকে চিঠি ‘বন্দি’ বিধায়কদের]

এই ঘটনার পরেই নিহত পুলিশকর্মীর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন এনসি নেতা ওমর আবদুল্লা। জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে পোস্ট করেন, “দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে বৈঠকে চলাকালীন আমার সহকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ তওকিরের উপর হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি অক্ষত থাকলেও তাঁর দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। মৃতের পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement