সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে ড্রোন (Drone)। বাজারে অল্প টাকার বিনিময়ে সহজেই মিলছে ড্রোন। যার জেরে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে (Army chief General MM Naravane)। ঠিক কী বললেন সেনাপ্রধান?
নারাভানের কথায়, “বাজারে ড্রোনের সহজলভ্যতা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে উদ্বেগও।” তিনি আরও জানান, হামলা চালাতে এবং হামলা প্রতিরোধ করতে ড্রোন ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আবার ড্রোন হামলা রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে জম্মু এয়ার ফোর্সে স্টেশনে বিস্ফোরণ এবং তার পর থেকে কাশ্মীরের ইতিউতি ড্রোনের ঘুরে বেড়ানো থেকে এটা স্পষ্ট যে, দেশের নিরাপত্তার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই ড্রোন।
সেনা গোয়েন্দাদের দাবি, মূলত দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাবার কিংবা ওষুধ পৌঁছে দিতে এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার হয়ে থাকে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে পিজ্জা (Pizza) এবং ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থেই বেজিংয়ের কাছে থেকে প্রচুর ড্রোন কিনেছে পাকিস্তানও (Pakistan)। এ ধরনের ড্রোনগুলি যেমন ওজনে হালকা হয়। তেমনই অনেকটা নিচু দিয়ে উড়তে সক্ষম। আবার নির্দিষ্ট টার্গেটে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতেও সক্ষম। জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে বিস্ফোরণে যে ধরনের ড্রোন ব্যবহার হয়েছে তার সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রয় করা ড্রোনের মিল রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে ড্রোন হামলা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
কানের পাশে ভনভন করতে থাকা অযাচিত মাছিদের মতো সীমান্তের ওপার থেকে আসা ড্রোন, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমানের মতো অস্ত্র ভোঁতা করার মতো হাতিয়ার মজুত রয়েছে ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে। ‘স্পাইডার’ নামক ইজরায়েলি মিসাইল, যা নিজেদের আকাশ সীমান্তে কোনও অপরিচিত বস্তুর হদিশ পেলেই এক নিমেষে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সমস্যা হল, নিজেদের বায়ুসীমায় থাকা ড্রোন, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান বা এই ধরনের অন্য কোনও বস্তু, তা শত্রুপক্ষের না নিজেদের তা বুঝে ওঠার ক্ষমতা পুরোপুরি নেই স্পাইডারের। তাই বাড়ছে উদ্বেগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.