সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় পণ্ডিত সম্প্রদায়ের (Pandit community) জন্য আগেই আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। বুধবার সংসদের চলতি অধিবেশনে এই সংক্রান্ত দুটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যার একটি বিলে একজন মহিলা-সহ দুজন কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সদস্যের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বাস্তুচ্যুতদের জন্যও উপত্যকার বিধানসভায় একটি আসন সংরক্ষিত হল। বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যে দুটি বিলই পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। প্রতিবাদে ওয়াক আউট করলেন বিরোধী সাংসদরা।
জম্মু-কাশ্মীরে এখন বিধানসভা নেই। ২০১৯ এর ৫ অগস্ট থেকে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। তাছাড়া রাজ্যের মর্যাদা খুইয়ে জম্মু-কাশ্মীর এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এমনটাই ঘোষণা করছে কেন্দ্র। তার আগে সংসদে ওই রাজ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছিল একাধিক দল। তার মধ্যেই পাশ হয়ে গেল Jammu and Kashmir Reorganisation (Amendment) Bill বা জম্মু কাশ্মীর বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস বিল।
এদিন বিল পেশ করে অমিত শাহ বলেন, “উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের কারণে কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে এই বিল। জম্মু কাশ্মীর বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস বিলের সৌজন্যে কাশ্মীর পণ্ডিতদের প্রতিনিধি দুই বিধায়কের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়াও পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে উদবাস্তুদের জন্যও একটি আসন সংরক্ষিত হল।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, বিগত ৭০ বছর ধরে যাঁরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাঁদের ন্যায়বিচার দেবে এই বিল।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর লাদাখ ও জম্মু কাশ্মীর- দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকেই কাশ্মীরে নির্বাচনী কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাস শুরু করে মোদি সরকার। তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে আসন পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২২ সালের মে মাসে কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দেয় এই কমিটি। জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ৮৩ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৯০।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.