সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর নয়েকের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বারো বছর বয়সী কিশোর সৎ দাদার বিরুদ্ধে৷ ধর্ষণের পর খুবলে নেওয়া হল নাবালিকার চোখ৷ এরপর বোনের মুখে অ্যাসিড ঢেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করল ওই অভিযুক্ত কিশোর৷ এই নারকীয় ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে৷ ঘটনায় যোগসাজশ রয়েছে কিশোরীর সৎ মায়েরও৷ তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
উরির বাসিন্দা বছর নয়েকের ওই নাবালিকা ২৩ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়৷ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা৷ বারামুলার পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ হোসেন মীর জানান, গত রবিবার বাড়ির কাছের এক জঙ্গল থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়৷ বিবস্ত্র ও দগ্ধ অবস্থায় পড়েছিল দেহটি৷ দেহ উদ্ধারের সময় একটি চোখও খুবলানো ছিল৷ ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে৷ উরির এসডিপিও জানান, নৃশংস এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে নাবালিকার সৎ মা ও দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়৷ তাদের জেরা করতেই সামনে আসে ভয়ঙ্কর তথ্য৷
একটানা জেরায় ভেঙে পড়ে নাবালিকার সৎ মা৷ সে জানায়, ওই নাবালিকা স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান৷ স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানকেই বেশি ভালবাসে৷ সেই আক্রোশেই নিজের ছেলেকে দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের ফন্দি আঁটে ওই মহিলা৷ বাড়ি থেকে ডেকে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে৷ সেখানেই সৎ দাদা ও তার বন্ধুবান্ধবরা মিলে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে৷ ঘটনার সময় জঙ্গল থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল ওই মহিলা৷ ধর্ষণের পর অচৈতন্য হয়ে পড়ে নাবালিকা৷ গলার নলি কেটে খুন করা হয় তাকে৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে চোখও খুবলে নেওয়া হয় নির্যাতিতার৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়৷ এরপর মাটি খুঁড়ে নাবালিকার দেহ চাপা দিয়ে বাড়িতে চলে আসে অভিযুক্তরা৷
স্বীকারোক্তির পরই পুলিশ নাবালিকার সৎ মা, দাদা ও তার বন্ধুবান্ধব-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও অ্যাসিডের কৌটোটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.