সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামাতের বিভাজনের প্রচার। ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা। সব সরিয়ে ফের কাশ্মীরে লালঝান্ডা ওড়ালেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইউসুফ তারিগামি। ফের কুলগামে উড়ল লালঝান্ডা।
কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বলছে, কাশ্মীরের কুলগাম কেন্দ্র থেকে ফের জয়ী হলেন ইউসুফ তারিগামি। এর আগে বার চারেক ওই কেন্দ্রে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। তবে এবারের লড়াই ছিল অন্যরকম। এবার প্রবীণ বামপন্থী নেতাকে লড়তে হয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে। তাছাড়া বিজেপি সমর্থিত ছোট ছোট দল এবং একাধিক নির্দল তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কেউই সেভাবে তাঁকে লড়াই দিতে পারলেন না।
ফলাফল বলছে, প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে ৭ হাজার ৮৩৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন ইউসুফ তারিগামি। এর আগে চারবার ইউসুফ তারিগামি কুলগাম কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। তবে শেষ দুবার তাঁর জয়ের ব্যবধান বেশি ছিল না। এবার রীতিমতো বড় ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। তাঁর নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী জামাত সমর্থিত নির্দল শায়ার আহমেদ রেশি। আসলে এতদিন কাশ্মীরে জামাত শিবির সরাসরি সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশ নিত না। বরং ভোট বয়কট করে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করত। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর তারাও মূল ধরারা রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এবার সরাসরি রাজনীতির ময়দানে জামাত। সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ায় জামাতের বহু নেতা এবার ভোটে লড়ছেন নির্দল হিসাবে। ইউসুফ তারিগামির বিরুদ্ধেও প্রবল বিচ্ছন্নতাবাদী প্রচার চালানো হয়েছে। এমনকী সরাসরি ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদকে হাতিয়ার করা হয়েছে। কিন্তু সেসব প্রচার এড়িয়ে কুলগামবাসী ভরসা রাখল বামপন্থাতেই।
পঞ্চমবার জয়ের পর তারিগামি বলছিলেন, “আমি কুলগামবাসীকে স্যালুট জানাতে চাই। তাঁরা কাশ্মীরের জন্য লড়াই করেছেন। কুলগামের জন্য লড়াই করেছেন। মানুষ কাশ্মীরবাসীর অধিকারের জন্য লড়াই করেছে, যারা সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করছিল, তাঁদের হারিয়ে দিয়েছে।” তারিগামি বলছিলেন, “ওরা এই লড়াইটাকে ইসলাম বনাম ইসলাম বিরোধী বলে প্রচারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মানুষ এত হিংস দেখেছে, এত অনিশ্চয়তা দেখেছে, যে ওদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ হল। এটা ইসলামের পরাজয় নয়, এটা দ্বিচারিতার পরাজয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.