সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হাতে’ হাত মিলিয়েও শেষরক্ষা করতে পারলেন না মুফতি ও আবদুল্লারা। অশান্ত উপত্যকায় ‘অস্থির’ সরকারের প্রয়োজন নেই জানিয়ে বুধবার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভঙ্গ করলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
[অমৃতসর হামলার ছক কষা হয়েছিল লাহোরে!]
বুধবার কাশ্মীরে সরকার গঠনের জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছিল। পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট বেঁধেছিল সরকার গড়তে। ৮৭ সদস্যের বিধানসভায় এই তিন দলের বিধায়ক ৫৫। এর আগে বিজেপির ২৬ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিলেন পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন। এরপরই পিডিপি জোটের নেত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজভবনে ফ্যাক্স করেন। কিন্তু তাঁর ফ্যাক্স গ্রহণ করার আগেই বুধবার রাতে রাজ্যপাল বিধানসভা ভেঙে দেন। কাশ্মীরে গত ১৯ জুন থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। বিধানসভা সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশনে ছিল। রাজ্যপাল বিধানসভা ভাঙার পরই বিজেপি নতুন করে ভোটের দাবি জানিয়েছে। রাজ্যপালের বিধানসভা ভাঙাকে অগণতান্ত্রিক বলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ দেশের সব বিরোধী দল। তবে সংবিধান বিশ্লেষকদের মতে, বিধানসভা ভঙ্গের অধিকার রয়েছে রাজ্যপালের। লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ কাশ্যপ জানান, রাজ্যপাল যোগী মনে করেন জোটের ফলে অস্থির সরকারের গঠন হতে পারে, তা হলে তিনি বিধানসভা ভঙ্গ করতেই পারেন।
এদিকে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর উপত্যকায় রাজ্যপাল শাসনের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তার আগেই সরকার গড়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে ‘গেরুয়া জুজু’ দেখছেন মুফতি-আবদুল্লারা। ফলে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খাওয়ার মতোই হাত মিলিয়েছেন তাঁরা। আর বিজেপিকে ঠেকাতে মুফতিতে অরুচি নেই কংগ্রেসের। তবে বিরোধীরা একজোট হলেও আপাতত সরকার গড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। তাদের অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার গঠনে বাধা দিচ্ছেন রাজ্যপাল।
[চলন্ত বাসে মহিলার সামনে হস্তমৈথুন, মুখ ফিরিয়ে রইলেন সহযাত্রীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.