Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘নারী-পুরুষ ভাগভাগি করে ৪.৫ মাস গর্ভধারণ করে না কেন?’

৪৫ পেরনো মহিলাদের পুরুষ ছাড়াই হজ যাত্রার প্রসঙ্গে ক্ষিপ্ত মৌলবি।

Jamiat Ulama cleric's controversial comment sparks row
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 10, 2017 7:16 am
  • Updated:October 10, 2017 7:16 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধ হয়েছে তৎক্ষণাৎ তিন তালাকের পদ্ধতি। এবার হজ যাত্রার ক্ষেত্রেও চালু  নতুন নিয়ম। ৪৫ বছরেরে বেশি বয়সি মহিলাদের হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গে পুরুষ আত্মীয় না থাকলেও চলবে। এই ঘোষণার পরই ক্ষিপ্ত মৌলবিরা। জামিয়ত উলামার সেক্রেটারি প্রশ্ন তুলেছেন, নারী পুরুষের যদি সমান অধিকার, তাহলে তারা ভাগভাগি করে ৪.৫ মাস গর্ভধারণ করে না কেন?

এবার পুরুষ আত্মীয় ছাড়াই হজে যেতে পারবেন মুসলিম মহিলারা ]

Advertisement

হজ যাত্রার ক্ষেত্রে মহিলাদের সঙ্গে কোনও একজন পুরুষ আত্মীয় থাকবে। দীর্ঘদিনের এ নিয়মে ইতি পড়েছে। সমানাধিকারের প্রসঙ্গেই জানানো হয়েছে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রে কোনও সঙ্গীর দরকার নেই। তাঁরা একাই হজে যেতে পারেন। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি জানিয়েছিলেন, পুরুষ আত্মীয় ছাড়াই ৪৫ পেরনো মুসলিম মহিলারা দলবদ্ধভাবে হজে যেতে পারবেন। তবে সেই দলে চারজন বা তার বেশি মহিলা থাকতে হবে। হজ রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার আফজল আমানুতুল্লা বলেন, ‘একশ্রেণির মুসলিমরা পুরুষ আত্মীয় ছাড়া মহিলাদের হজে যেতে দেন না। অন্য শ্রেণির মুসলিমরা আবার তা করেন না। তবে সরকার ৪৫ পেরোনো মুসলিম মহিলাদের পুরুষ আত্মীয় ছাড়া দলবদ্ধভাবে হজে যাওয়ার অনুমতি দেবে। এখন মুসলিমরা সেই সুযোগ নেবে কিনা, তা তাঁদেরকেই ঠিক করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে কোনও কিছু চাপিয়ে দেবে না।’

[  হিন্দু ও মুসলিম শব্দ সরছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে, জানালেন মন্ত্রী ]

এ নিয়েই এবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এই মৌলবি। নিয়ম শিথিল করে নারী পুরুষের সমান অধিকারের যে ইঙ্গিত দেওয়া ছিল, তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর প্রশ্ন, তাহলে পুরুষ নারী ভাগাভাগি করে গর্ভধারণ করে না কেন? অর্থাৎ তাঁর দাবি, সমান অধিকার দিতে গেলে তাহলে পুরুষদেরও গর্ভধারণ করতে হবে। তাঁর এই ক্ষোভ মূলত পুরুষদের প্রতিই। যে পুরুষরা নারীর সমান অধিকার দাবি করেন, তাঁদের উদ্দেশ্যেই এই বিষোদ্গার মৌলবির। যাঁরা নারীকে সমান অধিকার দিতে চান। তাঁরা নারীর গর্ভধারণের অর্ধেক ভার নিক, এমনটাই দাবি মহারাষ্ট্রের এই মুসলিম সংগঠনের প্রধানের। ইতিমধ্যেই এ মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যেখানে গোঁড়ামি কাটিয়ে ক্রমশ সাবালক হচ্ছে মুসলিম সমাজ, সেখানে এই ধরনের মানসিকতা যে পিছনেই টেনে ধরছে, এমনটাই মত অনেকের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement