সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসেই CAA আন্দোলনকারী সফুরা জারগারের অ্যাডমিশন বাতিল করেছিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Milia Islamia)। এবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ করল জামিয়া কর্তৃপক্ষ। দিল্লি দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিনি।
কেন তাঁর বিরুদ্ধে এহেন পদক্ষেপ? বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে নির্দেশিকা পেশ করা হয়েছে, সেখানে তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তিনি যে বিক্ষোভ ও মিছিলের আয়োজন করেছিলেন সেদিকে নজর রেখেই এই পদক্ষেপ। বলা হয়েছে, অপ্রাসঙ্গিক ও আপত্তিক ইস্যুতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছেন সফুরা। তিনি নিরীহ পড়ুয়াদের উসকানি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তাই জামিয়া মিলিয়া চত্বরের শান্তি বজায় রাখতে ওই প্রাক্তন পড়ুয়ার সেখানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
এর আগে M.Phil-এর জন্য গবেষণাপত্র জমা দিয়ে কিছুটা অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন শফুরা। কিন্তু তাঁর আবেদন গ্রহণে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে’ দেরি করে কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ জানিয়ে টুইটারে অ্যাডমিশন বাতিল হওয়ার নির্দেশিকা পোস্ট করে সফুরা লেখেন, “সাধারণত শামুকের গতিতে চলা জামিয়া আমার অ্যাডমিশন বাতিল করতে আলোর গতিতে ছুটছে। অ্যাডমিশন বাতিল হওয়ায় মন ভাঙলেও মনোবল ভাঙেনি।”
উল্লেখ্য, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার রিসার্চ স্কলার তথা সিএএ আন্দোলনের কর্মী সফুরাকে ২০২০ সালে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ। গ্রেপ্তারির পর সফুরার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলাও রুজু করে তারা। তিহাড় জেলে বন্দিদশা থেকে জামিনের আবেদন করলেও তা তিন বার খারিজ হয়ে যায় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর মানবিকতার খাতিরে ২০২০ সালের জুন মাসে সফুরাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.