ফাইল ছবি
মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফের জঙ্গিদমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। এবার জম্মু ও কাশ্মীরে খতম করা হয়েছে কুখ্যাত আফগান মুজাহিদ আবদুল রহমান ওরফে ‘ফৌজি ভাই’কে। কয়েকদিন আগেই পুলওয়ামায় নাশকতা চালানোর ছক কষেছিল ওই জঙ্গি। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় পাকড়াও করা হয় বিস্ফোরক বোঝাই জঙ্গিদের একটি গাড়িকে।
বুধবার সকালেই কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ফের শুরু হয় সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)জঙ্গির। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছে জইশের বোমা বিশেষজ্ঞ আবদুল রহমান ওরফে ‘ফৌজি ভাই’। কয়েকদিন আগেই পুলওয়ামায় উদ্ধার হওয়া গাড়ি বোমাটিও সেই তৈরি করেছিল। তার মৃত্যুতে কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। পাশাপাশি উপত্যকায় সেনাবাহিনী বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ প্রধান।
কে এই ফৌজি ভাই? করা তাকে পাঠিয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো সে। আফগানিস্তানের লড়াইয়েও শামিল হয়েছিল সে। বিশ্লেষকদর মতে, এহেন কুখ্যাত জঙ্গিকে কাশ্মীরে পাঠিয়ে ভারতীয় বাহিনীর উপর পরপর আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল পাকিস্তানের। ২০১৭ সালেই পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে আবদুল। তারপর বেশ কয়েকমাস ধরে স্থানীয় জেহাদিদের সঙ্গে মিলে সেনাবাহিনীর উপর আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে সে। যদিও শেষমেশ তা ভেস্তে যায়। উল্লেখ্য, মার্চের ৩০ তারিখ পুলওয়ামায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি RDX বিস্ফোরক বোঝাই একটি স্যানট্রো গাড়ি পাকড়াও করে নিরাপত্তারক্ষীরা। সেটি শোপিয়ান জেলার বাসিন্দা প্রাক্তন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি হিদয়াতুল্লা মালিকের ছিল বলে জানা যায়। ওই ষড়যন্ত্রে আদিল ও জাহিদ নামের জইশের দুই স্থানীয় সদস্যও জড়িত ছিল। ওই দু’জনেই ফৌজি ভাইয়ের নির্দেশে কাজ করছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.