সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশকে বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে গিয়ে প্রচুর মদ খাইয়ে পালিয়ে গেল কুখ্যাত গ্যাংস্টার। আদালত থেকে জেলে ফেরার কথা ছিল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও তাকে ঘিরে থাকা পুলিশ বাহিনীর। কিন্তু, জেলে ফেরার আগে পুলিশ ‘দোস্ত’দের জন্য একটা মদের পার্টি দেওয়ার ঘোষণা করে আসামি। এমন আন্তরিক আমন্ত্রণ ফেলতে পারেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরই পুলিশকে প্রচুর মদ খাইয়ে নেশায় বুঁদ করে পগারপার হয়ে যায় বদন সিং ওরফে বাদ্দু।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মীরাটে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন শহরে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তখনই ঘটে এই ঘটনা। ফলে এমন গাফিলতিতে মুখ পুড়েছে মীরাট পুলিশের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ছয় পুলিশকর্মী-সহ নজনকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি বদনের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন- ক্ষমতায় ফিরলে বাংলায় নাগরিকপঞ্জি, আলিপুরদুয়ারের সভায় ঘোষণা অমিতের]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৬ সালে এক আইনজীবীকে খুনের ঘটনায় গত বছর দোষী সাব্যস্ত হয় বদন। তার বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতি-সহ মোট দশটি মামলা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের আন্ডারওয়ার্ল্ডে বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য বিখ্যাত ছিল বদন ওরফে বাদ্দু। ৪৮ বছর বয়সী এই দুষ্কৃতীর মাথার দামও রাখা ছিল এক লাখ টাকা। কিন্তু, মীরাটে প্রবল প্রতিপত্তির কারণে দীর্ঘদিন বদনকে ধরতে পারেনি পুলিশ। শেষপর্যন্ত এক আইনজীবীকে খুনের অভিযোগে গত বছর অক্টোবর মাসে ধরা পড়ে সে। তারপর প্রথম একমাস মীরাট জেলে রাখার পর তাকে ফারুখাবাদের ফতেগড় সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গাজিয়াবাদ আদালতে খুনের মামলার শুনানির জন্য পুলিশের ভ্যানে করে বদনকে ফতেগড় থেকে গাজিয়াবাদ আনা হয়। রাতে ফের জেলে ফেরার সময় বদন ও তার কয়েকজন সঙ্গী তাদের ঘিরে থাকা ছজন পুলিশের একটি দলকে মদের পার্টির লোভ দেখায়। পুলিশকর্মীরা সবুজ সংকেত দিতেই দিল্লি রোডের ধারে একটি হোটেলে গিয়ে ওঠে তারা।
[আরও পড়ুন- পাকিস্তান যখন লাশ গুনছে তখন প্রমাণ চাইছে বিরোধীরা, কটাক্ষ মোদির]
অভিযোগ, রাতভর সেখানে প্রচুর মদ খায় ওই পুলিশরা। এরপরই বদনের আরও কয়েকজন শাগরেদ ওই হোটেলে এসে পৌঁছয়। সারারাত ধরে মদের ফোয়ারা ছুটিয়ে জোরকদমে চলে পার্টি। সকালে সবাই যখন নেশায় চুর তখন পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে পালিয়ে যায় বদন। তিন ঘণ্টা পর নেশার ঘোর কাটলে পুলিশ বুঝতে পারে বদন তাদের হেফাজত থেকে পালিয়েছে। স্থানীয় পুলিশকে ঘটনার কথা জানাতেই শুরু হয় তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.