সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়! প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রবাদটি সত্যি প্রমাণ করে আসছেন অনেক মানুষ। সেই তালিকাতে এবার নিজের নাম নথিভুক্ত করলেন কর্ণাটকের এক ব্যক্তি। ১৪ বছর ধরে জেল খাটার পরেও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে ডাক্তারি পাশ করলেন তিনি। ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম সুভাষ পাটিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের কালবুর্গি জেলার আফজলপুরা এলাকার বাসিন্দা সুভাষ পাটিলের খুব একটা বদনাম কিছু ছিল না। বরং তিনি পড়াশোনায় ভাল বলেই জানতেন স্থানীয়রা। সেই সুনাম বজায় রেখে স্কুল ও কলেজের পালা সাঙ্গ করে ডাক্তারি পড়া শুরু করেন সুভাষ। কিন্তু, ১৯৯৭ সালে MBBS পড়ার সময় খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জামিন পেলেও এর ফলে আর ডাক্তারি পাশ করা হয়নি তাঁর। উলটে এই খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০০২ সালে জেলে যেতে হয়। তারপর ২০০৬ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। টানা ১৪ বছর জেলবন্দি থাকার ভাল আচরণের কারণে ২০১৬ সালে তাঁকে মুক্তি দেয় প্রশাসন। আর ২০১৯ সালে ডাক্তারি পাশ করার পর গত মাসে একবছরের ইন্টার্নশিপ কমপ্লিট করেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে সুভাষ পাটিল বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। ১৯৯৭ সালে MBBS পড়ার জন্য স্থানীয় একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হই। কিন্তু, ২০০২ সালে আমি যখন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তখন একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে জেলে যেতে হয়। তারপর থেকে জেলেই ছিলাম। যেহুতু আমি ডাক্তারি পড়েছিলাম তাই আমাকে জেল হাসপাতালের আউটডোরে কাজ করতে হত। ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট ভাল ব্যবহারের জন্য আমার জেলের সাজা মকুব করা হয়। জেল থেকে ছেড়েও দেয় প্রশাসন। এরপরই ফের ডাক্তারির পড়াশোনা আরম্ভ করি। ২০১৯ সালে ফল মেলে সেই পরিশ্রমের। ডাক্তারি পাশ করার পর একবছরের ইন্টার্নশিপ কমপ্লিট করি গত মাসে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.