সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওদের ঘুম ভাঙে গুলির শব্দে৷ পোড়া বারুদের গন্ধ ওদের চেনা৷ সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ের আতঙ্কও অনেক আগেই গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে রাজৌরি সেক্টরের পড়ুয়াদের মনে৷ গুলি চললে ওরা জানে, শুধু সতর্ক থাকতে হয়৷ শিক্ষা বলতে শুধু স্রেফ এটাই৷ নেই প্রথাগত শিক্ষা৷ নেই পঠন-পাঠনের চল৷ আগে নিয়ম করে স্কুল চললেও এখন তা বন্ধ৷ দিনরাত সীমান্তের দু’পারের গোলাগুলির জেরে ধ্বংস হয়েছে স্কুল৷ বোমার আঘাতে উড়েছে স্কুল বাড়ির ছাদ৷ কিন্তু, এভাবে আর কতদিন শিক্ষার অধিকার থেকে পিছিয়ে পড়বে উপত্যকায় পড়ুয়ারা? বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে সেনার উদ্যোগে রাজৌরি সেক্টরে চালু হল নতুন স্কুলভবনে পঠনপাঠন৷ দীর্ঘদিন পর স্কুল ফেরত পেয়ে রীতিমতো উল্লসিত পড়ুরারা৷ খুশি শিক্ষকরাও৷
উপত্যকায় ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি থাকলেও স্থানীয় পড়ুয়াদের জন্য রাজৌরি ও জম্মুতে দু’টি স্কুল চালুর উদ্যোগ নেয় সেনা৷ আজ, বুধবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে দু’টি স্কুলবাড়ির উদ্বোধন করা হয়৷ স্কুল শুরুর প্রথম দিনে পড়ুয়াদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, স্কুল শুরুর প্রথম দিনে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেখে সিদ্ধান্তে আরও বদল এসেছে সেনা৷ উপত্যকায় শিক্ষার হার বাড়াতে আরও ১০০টি স্কুলবাড়ি নির্মাণে পরিকল্পনাও নিয়েছে ভারতীয় সেনা৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই স্কুল নির্মাণে হাত লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে৷
[কীভাবে বুঝবেন মারণ মোমোয় আসক্ত আপনার সন্তান?]
নতুন স্কুলে পড়ুয়াদের পেয়ে রীতিমতো খুশি শিক্ষক জ্যোতি৷ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘‘সুরক্ষিত ঘরের অভাবে এতদিন পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতেন না স্থানীয়রা৷ পাছে কোনও বিপদ ঘটে৷ কিন্তু, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে৷ সেনা পাশে এসে দাঁড়াতেই সাহস পেয়েছেন বাসিন্দারা৷ ফলে, নতুন করে স্কুলমুখী হতে শুরু করে উপত্যকার পড়ুয়ারা৷
[‘আত্মসমর্পণ করতে চাই’, স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু হাতে থানায় স্বামী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.