Advertisement
Advertisement

Breaking News

জঙ্গিদমন অভিযানে গিয়ে উপত্যকায় শহিদ সেনা আধিকারিক

চলতি সপ্তাহে সেনা-জঙ্গির লড়াইয়ে শহিদ হলেন চার জওয়ান

J-K : CISF ASI killed in grenade attack

চলতি সপ্তাহে সেনা-জঙ্গির লড়াইয়ে শহিদ হলেন চার জওয়ান

Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 27, 2018 11:04 am
  • Updated:October 27, 2018 11:23 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হতেই ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর৷ দীপাবলির উৎসবের আগেই জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেড হামালায় শনিবার সকালে শহিদ হলেন সিআইএসএফ আধিকারিক৷ শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের নোগাম সেক্টরে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা৷ ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় রাজেশ কুমারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা লড়াই করার পর শনিবার মৃত্যু হয় সিআইএসএফ অফিসারের৷ এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে সেনা-জঙ্গির লড়াইয়ে শহিদ হলেন চার জওয়ান৷

[স্কুল বাসে যৌন হেনস্তা, আতঙ্কে সাড়ে তিন বছরের খুদে পড়ুয়া]

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নামেন সিআইএসএফ অফিসার রাজেশ কুমার৷ নোগাম সেক্টারে অভিযান চালাতে গেলে সেনা অফিসারকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়৷ গ্রেনেড হামলায় শুক্রবার রাতে গুরুতর জখম হন তিনি৷ সেনার অনুমান, ভূস্বর্গে লাগাতার জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু হতেই পালটা আক্রমণ শুরু করে জঙ্গিরা৷ গত বৃহস্পতিবার রাতেও সেনা ও জঙ্গিদের গুলি বিনিময়কে ঘিরে উত্তপ্ত হয় উপত্যকা। রাজ্যের বারামুলা ও অনন্তনাগে চলে গুলি। অনন্তনাগের আরওয়ানি এলাকায় চার জঙ্গি খতম হয়। বারামুলার ক্রিরিতে খতম করা হয় দুই জঙ্গিকে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। এই দুই জঙ্গি লস্কর-ই-তইবার সদস্য বলে জানা গিয়েছে। অনন্তনাগে যে চারজন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা, তাদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। দুটি জায়গা থেকেই প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেন ভারতীয় জওয়ানরা। উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি বোমা ও গ্রেনেডও। এছাড়া দুই জায়গা থেকেই কয়েকটি ব্যানার পাওয়া গিয়েছে। তাতে উর্দু ভাষায় লেখা।

Advertisement

[নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ জিগনেশের]

এর আগে রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের লারু এলাকায় সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘাত বাঁধে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করেন জওয়ানরা। তল্লাশি চলাকালীন জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাতে তিনজন শহিদ হন। এরপরই কুলগামের এনকাউন্টার এলাকায় একটি বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে মারা যান সাত নাগরিক। সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার কাশ্মীর স্তব্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সেদিন দোকান, বেসরকারি অফিস, জ্বালানি কেন্দ্র ও অন্য ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলি বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল রেল-সহ অন্যান্য গণপরিবহণ পরিষেবাও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement