ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই বাকি রাজ্যগুলির মত অসমেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই মেলেনি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটির। তবে আক্রান্তের মাত্রা দেখে রবিবার সতর্ক করলেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) মতে গুয়াহাটিতে নাকি শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission)! তাই শুনেই আতঙ্কে কাঁটা অসমবাসী।
আনলকের দ্বিতীয় পর্বে দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নানাবিধ নিয়মের বেড়াজালকে বুড়ো আঙুল দিয়ে একের পর এক গোল করছে করোনা ভাইরাস। ভয়ের আরেক নাম যে করোনা তা হারে হারে টের পাচ্ছে দেশবাসী। আনলকে ১৪ দিনের কড়া লকডাউন জারি করেও মিলল না সুফল। শেষ পর্যন্ত গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করলেন খোদ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রবিবার একটি বৈঠকে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, “এবার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই সঙ্গেই গুয়াহাটি এবার অতিমারীর পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এই সংক্রমণ এবার আরও বাড়তে থাকবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।” আর সেই কথা শোনার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে অসমবাসীর মধ্যে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই অসম সরকার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করেছে। রবিবারই গুয়াহাটিতে (Guwahati) একদিনে সর্বাধিক, ৭৭৭জন করোনায় আক্রান্ত হন। রবিবার মাত্র ২৪ ঘণ্টায় অসমে ১২০০-র বেশি মানুষের রিপোর্ট পজিটিভ মেলে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, “অন্তত মঙ্গলবার পর্যন্ত এভাবেই রাজ্যে সংক্রমণ বাড়বে। তারপর কিছুটা কমতে পারে। আমরা আশা করছি ৮ অথবা ৯ জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমবে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, অসমে ডাবলিং রেট বেড়েছে। আগে যেখানে ১০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, সেটা এখন বেড়ে ১৩ দিন হয়েছে। ফলে অসমের রাজধানী গুয়াহাটিকে নিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকদের কপালে দীর্ঘ হচ্ছে চিন্তার ভাঁজ। এই চরম পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে অসমের COVID হাসপাতালগুলির শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। গত ২৯ জুন থেকে মারণ ভাইরাসকে রোধ করতে গুয়াহাটিতে ১৪ দিনের কড়া লকডাউন জারি করা হয়। তারমধ্যে কেবলমাত্র ৪ দিন রাজ্যবাসীকে সামান্য ছাড় দিতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। গত ১০ দিনে গুয়াহাটিতে ২৭০০ জনের শরীরে মেনে ভাইরাসের সন্ধান। এই মুহূর্তে অসমে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১১,০০১।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.