ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসরোর (ISRO) চন্দ্রাভিযানের আগে এবং ঐতিহাসিক সাফল্যের পরে মন্দির গিয়ে পুজো দেওয়া নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath)। এবার তিনি জানালেন, কীভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে মন্দির বা দেবস্থানকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। ঠিক কী পরামর্শ দিয়েছেন সোমনাথ?
গত বছর ২৩ আগস্ট ১৪০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন সত্যি করে চাঁদের মাটি ছোঁয় চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান ৩-কে ল্যান্ড করিয়েই ঈশ্বরের শরণে যান ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। পুজো দেন তিরুঅনন্তপুরমের ভদ্রকালী মন্দিরে। এর পর প্রশ্ন উঠেছিল, একজন বিজ্ঞানী হয়ে কেন চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে মন্দিরে পুজো দেবেন? উত্তরে সোমনাথ জানিয়েছিলেন, ‘আমি একজন অনুসন্ধানী। আমি চাঁদের রহস্য অনুসন্ধান করি। আবার আমি অন্তরাত্মাকেও অনুসন্ধান করি। এটা আমাদের জীবনযাত্রার অঙ্গ। বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা, দু’টোই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ আমার জীবনে।’
এদিন তিরুঅনন্তপুরমের শ্রী উদয়ননুর দেবী মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইসরো প্রধান। চন্দ্রযানের সাফল্যে সেখানে তাঁকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। সম্মান গ্রহণের পর নিজের বক্তব্যে সোমনাথ পরামর্শ দেন, নতুন প্রজন্মের কথা ভেবে মন্দিরে মন্দিরে গ্রন্থাগার গড়ে তুলতে হবে। সোমনাথ বলেন, ‘মন্দির কেবলমাত্র মন্ত্রপাঠ করার জায়গা নয়, সামাজিক উন্নয়নেরও জায়গা।’ মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রতি ইসরো চেয়ারম্যানের আহ্বান, মন্দিরকে নতুন প্রজন্মের পছন্দের স্থান করে তুলুন।
এস সোমনাথ বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যায় নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। যে কারণেই হোক তাঁদের সংখ্যা খুব কম দেখছি। কর্তৃপক্ষের উচিত মন্দির যাতে করে আজকের ছেলেমেয়েদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে তার বন্দোবস্ত করা। কেন মন্দিরে গ্রন্থাগার গড়ে তোলা যাবে না?’ এদিন এস সোমনাথের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.