সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র সাতদিন আগে লন্ডনে ধরা পড়া দাউদ ইব্রাহিমের ডানহাত জাবির সিদ্দিক ওরফে জাবির মোতির ঘটনাকে অনুসরণ করে ভারতের গোয়েন্দারা এক নতুন তথ্য জানতে পারলেন। ডি-কোম্পানিতে চলছে প্রবল ডামাডোল ও ক্ষমতা দখলের লড়াই।
[দেশের আকাশ ঢাকবে অভেদ্য বর্ম, ভারতের হাতে আসছে ‘এস-৪০০’]
গত দেড়-দু’বছর ধরে দাউদের সিন্ডিকেটে দাউদের ভাই আনিস আর দাউদের দীর্ঘদিনের অনুচর ছোটা শাকিলের দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। জাবির দাউদের বহুদিনের বিশ্বস্ত শাগরেদ। পাকিস্তান, পশ্চিম এশিয়া, ব্রিটেন, ইউরোপ ছাড়াও আফ্রিকা আর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে দাউদের লগ্নি করা টাকার দেখভাল করত সে। শুধু এটাই নয়, দশ বছরের ব্রিটেনের ভিসা পাওয়া পাকিস্তানি নাগরিক জাবির দাউদের স্ত্রী মেহজবিন, ছেলে মঈন, তিন মেয়ে মাহরুখ, মেহরিন এবং মাহরুখের স্বামী (পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের ছেলে) জুনেইদ, ও দাউদের অন্য জামাই ঔরঙ্গজেবের টাকাপয়সা লেনদেনের দেখাশোনাও করত। বিশ্বের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে থাকা দাউদের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের মধ্যে বেআইনি অস্ত্র সরবরাহ, মাদক পাচারের ব্যবসা, তোলাবাজি, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার একটা বড় অংশের অর্থ দাউদ ভারতের বিরোধী সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করতে কাজে লাগায়। এই অর্থ সামলানোর দায়িত্বও ছিল জাবির মোতির হাতেই।
ভারতের গোয়েন্দাদের কাছে পৌঁছনো খবরের সারমর্ম হল, ২০১৭ থেকেই দাউদের দলে ছোটা শাকিল আর দাউদের ভাই আনিস ইব্রাহিমের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই তীব্র হয়েছে। অসুস্থ দাউদ নিজের কর্মকাণ্ডের ভার শাকিল আর আনিসের মধ্যে ভাগ করে দিতে চাইছিল গত দু-তিন বছর থেকে। শাকিলকে ভারতের দিকটা আর আনিসকে আন্তর্জাতিক দিকটা সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু শাকিল তাতে খুশি নয়। তা থেকেই আনিস আর শাকিলের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এমনিতেই দাউদের আন্তর্জাতিক ব্যবসা দেখাশোনা করে থাকে আনিস। মাঝখানে দাউদ নিজে উদ্যোগ নিয়ে দুজনের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিল। কিন্তু সেই দ্বৈরথ তাতে বেশিদিন থেমে থাকেনি। ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে এমন খবরও রয়েছে যা থেকে মনে করা হচ্ছে, দলে অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষমতাশালী আনিসের পক্ষে গিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ছোটা শাকিলকে খতমও করে দিতে পারে যে কোনও সময়। সুতরাং ডি কোম্পানির ভেতর যে সবকিছু ঠিক নেই তা নিয়ে ভারতের গোয়েন্দারা একশো ভাগ নিশ্চিত।
এদেশের গোয়েন্দারা এমনও মনে করছেন, ছোটা শাকিলকে খতম করার সব উপায় তৈরি আছে। বাইরে থেকে অনেকে এখনও মনে করে থাকেন, দাউদই হয়তো ডি কোম্পানির রাজ চালাচ্ছে এখনও। কিন্তু বাস্তবে সেই কোম্পানি এখন চালায় আনিস। লন্ডনে ধরা পড়া জাবির আসলে ছোটা শাকিল গোষ্ঠীর। গোয়েন্দারা মনে করছেন, জাবির সম্পর্কে তথ্য স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে সরবরাহ করেছে আনিস। জাবিরকে লন্ডনে ধরা পড়তে ব্রিটিশ পুলিশকে সাহায্য করেছে খোদ দাউদ।
[ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য, যৌনকেচ্ছা ও ঘুষ মামলায় জেরবার ট্রাম্প]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.