সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কিছুদিন হৈ-হট্টগোলের পর কংগ্রেসের (Congress) অন্দরের বিদ্রোহের আগুন এখন অনেকটাই স্তিমিত। ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা যে কড়া মনোভাব নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন, সেই কড়া মনোভাব এখন অনেকটাই আনুগত্যে পরিণত হয়েছে। গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি করার যে দাবি অস্ফুটে উঠছিল, তা আবার অস্তমিত। এখন বিক্ষুব্ধরা সোনিয়ার কাছে অন্য দাবি জানাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন, নাকি হচ্ছেন না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আসলে কংগ্রেসের এই তথাকথিত G-23 নেতাদের মূল দাবি হল, একজন সক্রিয়, পূর্ণ সময়ের সভাপতি। যিনি কিনা আড়ালে থেকে কাজ না করে হাতেকলমে কাজ করবেন। অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিজে যোগাযোগ রাখবেন। রাহুল গান্ধী যদি সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের সভাপতি হতে চান, তাহলে এই নেতাদের বেশিরভাগেরই কোনও সমস্যা নেই। বস্তুত এদের মধ্যে অর্ধেক নেতাই চাইছেন, রাহুলই কংগ্রেসের ৮৭তম সভাপতি হোন। তবে ওয়ানড়ের সাংসদের কাছে আগেরবারের তুলনায় আরেকটু বেশি সক্রিয়তা আশা করছেন বিক্ষুব্ধরা। এই মুহূর্তে বিক্ষুব্ধদের মূল দাবিই হল রাহুলের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করা, যে তিনি ফের সভাপতির পদে বসবেন। এবং সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন।
আগামী মঙ্গলবার সংসদে দলের নীতি নির্ধারণের জন্য ফের সোনিয়ার নেতৃত্বে বৈঠকে বসছে কংগ্রেস। থাকবেন মনমোহন, একে অ্যান্টনির মতো সিনিয়র নেতারা। রাহুলও উপস্থিত থাকতে পারেন। এই বৈঠকে ডাক পড়তে চলেছে বিক্ষুব্ধদেরও। শোনা যাচ্ছে, চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর সোনিয়া (Sonia Gandhi) এদের প্রতি যেভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, সেই ক্ষোভের আগুনও এখন অনেকটা প্রশমিত। তিনি নাকি বিদ্রোহীদের দাবি দাওয়া সামনাসামনি বসে শুনতে চান। সুতরাং মঙ্গলবারের এই বৈঠকেই ইঙ্গিত মিলতে পারে, ভবিষ্যতে কংগ্রেসের ক্ষমতা কাদের হাতে থাকবে? গান্ধী পরিবারের হাতে নাকি পরিবারের বাইরে কারও হাতে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.