সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যার চেষ্টা করে কেউ ব্যর্থ হলে, তার জন্য কোন পদক্ষেপ প্রযোজ্য? তাকে কি শাস্তি দেওয়া হবে নাকি ফের সুস্থ জীবনে ফেরাতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো বা মানসিক চিকিৎসা করা হবে? এ বিষয়ে কেন্দ্রের থেকে সুস্পষ্ট জবাব চাইল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
বন্যপ্রাণ অধিকার আইন নিয়ে কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তার মূল বিষয় ছিল, হিংস্র প্রাণীর খাঁচায় ঢুকে কেউ যদি আত্মহত্যা করতে চায় এবং তাতে ব্যর্থ হয়, তারপর তাঁর জন্য কী নিদান? সংগঠনের লক্ষ্য, এমন নৃশংস পদ্ধতিতে আত্মহত্যার প্রবণতা যাতে রোখা যায়, তার জন্য নির্দিষ্ট আইন জানা। এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের (SA Bobde) নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ দুটি পরস্পরবিরোধী আইনের উল্লেখ করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ নং ধারায় (Section 309 of IPC) আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তাকে শাস্তি দেওয়ার নিদান রয়েছে। আবার মানসিক স্বাস্থ্য আইনের ১১৫ নং ধারা (Section 115 of (Mental Healthcare Act) অনুযায়ী, মানসিক বিপন্নতা থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা এবং চেষ্টা। তাই তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে, মানসিক চিকিৎসা, শুশ্রূষার মাধ্যমে ফের সুস্থ জীবনে ফেরানোর রাস্তা করে দিতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৭’র এই ধারাটি নতুন সংযোজিত। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে, এই পরস্পরবিরোধী আইন প্রণয়ন কেন। জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, যে কোনও ব্যক্তি বিপুল মানসিক চাপে পড়ে তবেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। ওই আইনে সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তাঁর এই জবাবে সন্তুষ্ট নন প্রধান বিচারপতি বোবদে, বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যম। তাই এ বিষয়ে সলিসিটর জেনারেলের মাধ্যমে নোটিস পাঠিয়ে কেন্দ্রের সুস্পষ্ট মতামত তাঁরা জানতে চেয়েছেন। কেন্দ্রের জবাব পেলে তবেই আত্মহত্যা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট মামলা নিয়ে কোনও পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করা সম্ভব বলে মনে করে শীর্ষ আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.