ছবি: প্রতীকী
সুব্রত বিশ্বাস: স্বাদ বদলাচ্ছে রাজধানী এক্সপ্রেসের খাবারে। বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে সব রাজ্যের মানুষজনের আঞ্চলিক খাবারের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে আইআরসিটিসি। সংস্থার গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলেন, খাবারের একঘেয়েমি কাটাতে এই পদ পরিবর্তন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাবারের কিছু বিশেষত্ব যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে খাদ্যগুণ, সঙ্গে অবশ্যই স্বাদ। এই সব কিছুর মেলবন্ধন ঘটানো হবে খাবারের মাধ্যমে। এজন্য প্রথমে রাজধানী এক্সপ্রেসকেই বেছে নিয়েছে আইআরসিটিসি। দেবাশিসবাবুর কথায়, আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে।
হাওড়া ও শিয়ালদহ-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে বাংলার স্বাদের বাহার আনা হবে। বর্তমানে ওই ট্রেনে ভাজা মুগডাল দেওয়া হয়। এর বদলে নারকেল কোরা দিয়ে ছোলার ডাল, তরকারি করা হবে আলু ও ফুলকপির কোর্মা বা ডালনা। এখন মটর পনির দেওয়া হয়, সেখানে ছানার কোপ্তা, বাংলার স্বাদের পোলাও দেওয়া হবে। তরকারি, ভাজি এসব খাবারে পরিবর্তন আনা হলেও বোনলেস চিকেন, মিষ্টি ও আইসক্রিমে কোনওরকম বদল আনা হবে না। খাবারে বৈচিত্র আনতে মাঝেমধ্যেই পরিবর্তন আনা হবে। মাছের ঝোল-ভাত, আলুপোস্ত, ডিমের ডালনা দেওয়া হবে মাঝেমধ্যেই।
প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে এই পরিবর্তন আনা হলেও গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির মেনুতে বদল এনে পরে আস্তে আস্তে রিজিওনাল কুইজিনে পরিবর্তিত হবে। দেবাশিসবাবুর কথায়, এতকাল পুজোর সময়ে মেনু পরিবর্তন করা হত। এবার সেই ধারাবাহিকতার পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব বৈচিত্রে কিছু খাবার হয়। যা পরম প্রিয় স্থানীয়ভাবে। যার স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ আমাদের অজানা। অথচ এই খাবার হাতে পেলে সবাই পরম তৃপ্তি করে খাবেন। একথা মাথায় রেখেই খাবারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রেনে বিদেশি পর্যটকরাও চড়েন, তাঁরাও এই খাবার পেয়ে পরিতৃপ্ত হবেন। সঙ্গে আমাদের আঞ্চলিক খাবারের বৈচিত্র অনুভব করতে পারবেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.