Advertisement
Advertisement

Breaking News

নয়া আইনে চাকরিস্থলে যৌনতাও ঘুষ, ধরা পড়লেই হবে শাস্তি

কর্মক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা আদায়ে যৌনতাকে হাতিয়ার করলেই বিপদ!

Intimacy as a toll to succeed in work place punishable
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:September 10, 2018 6:34 pm
  • Updated:September 10, 2018 6:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্তার হাত থেকে রক্ষা করতে রয়েছে বিশাখা আইন। কিন্তু যৌনতাকে হাতিয়ার করে যাঁরা কর্মক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা আদায় করেন,  এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া হতে চলেছে আইন। নতুন দুর্নীতি বিরোধী আইনে যৌনতাকে ব্যবহার করে বাড়তি সুবিধা নেওয়া কর্মী ও যৌনতার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া ঊধ্বর্তন,  দু’জনই অপরাধী। আর এই অপরাধ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি সাত বছরের জেল ও জরিমানা।

বলা বাহুল্য, সরকারি বা বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ সুবিধা পেতে বা গাফিলতি ঢাকতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘুষ দেওয়ার রীতি দীর্ঘদিনের। ২০১৮-তে দুর্নীতি দমনের সংশোধনী বিলে ঘুষ হিসাবে যৌনতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অধঃস্তন মহিলা কর্মীকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা হয়। তাঁদের জন্যই রয়েছে বিশাখা আইনের সুবিধা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাকরি হারানোর ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী মহিলারা অভিযোগ জানান না। বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মহিলা কর্মীদের অনেক সময়ই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীরা স্বেচ্ছায় যৌনতাকে ব্যবহার করেন। কর্মস্থলে পদোন্নতি-সহ বাড়তি সুবিধা পেতে বা গাফিলতি ঢাকতে মহিলারাও যৌনতাকে সিঁড়ি করেন। এক্ষেত্রে সুবিধাদাতা ও সুবিধাভোগী দু’জনকেই শাস্তি পেতে হবে। নয়া এই আইনকে হাতিয়ার করে থানায় অভিযোগও দায়ের করা যাবে।

Advertisement

[থানায় মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণ দুই পুলিশকর্মীর! চাঞ্চল্য হরিয়ানায়]

সংশোধিত আইনে উল্লেখ করা হয়েছে,  কর্মস্থলে যৌন আবেদন বা হেনস্তা কোনওভাবে কাম্য নয়। এমনকী,  যদি চাপ সৃষ্টি করা নাও হয়,  তাহলেও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে যৌনতা মেনে নেওয়া যায় না। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে,  কোনও কর্মচারীর কাজে খুশি হয়ে ব্যক্তিগতভাবে তাকে বড় কোনও উপহারও দিতে পারবেন না শীর্ষ আধিকারিক। এক্ষেত্রে বড় উপহার অর্থাৎ,  সম্পত্তি কিনে দেওয়া,  বিদেশ ভ্রমণের মতো বিষয়গুলিকে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ দক্ষতার পুরস্কার স্বরূপ কিছু দিতে গেলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিতে হবে। চলতি বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্র এ বিষয়ে সংশোধনী বিল আনে,  যাতে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ এরপর সংসদে পাস হয় সংশোধিত দুর্নীতি-বিরোধী আইন৷ এই আইনের সাহায্যে বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

[বনধ করেও দেশের ‘বিকাশ’ বন্ধ করা যাবে না, কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement