ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরেই ভূস্বর্গে বন্ধ করা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি বিরোধীরা। সম্প্রতি এই বিষয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তারপর শনিবার থেকে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানকার পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে জম্মুর ৫টি জেলায় 2G পরিষেবা চালু হয়েছে। আর জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত সরকারি অফিস ও হাসপাতালে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এর মাঝেই কাশ্মীরিরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে নোংরা ছবি দেখেন বলে মন্তব্য করলেন নীতি আয়োগের এক সদস্য ভিকে সারস্বত। তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। একজন প্রশাসনিক আধিকারিক কীভাবে রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলছেন। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সবাই।
#WATCH: NITI Aayog’s VK Saraswat says “…They (politicians) use social media to fuel protests. What difference does it make if there’s no internet in Kashmir? What do you watch on internet there? What e-tailing is happening? Besides watching dirty films, you do nothing. (18.01) pic.twitter.com/slz9o88oF2
— ANI (@ANI) January 19, 2020
শনিবার গুজরাটের রাজধানী গান্ধী নগরে ধীরুভাই আম্বানি ইনস্টিটিউট অব ইনফর্মেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (DA-IICT)-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সারস্বত। সেখানে যাওয়ার পর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরির পথে কাশ্মীরের ঘটনা কি কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে? যেখানে দেশের সর্বত্র ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে সেখানে কাশ্মীরে কেন এতদিন তা বন্ধ রাখা হল? এর উত্তরে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে সারস্বত বলেন, ‘মূলত নোংরা ও অশ্লীল ছবি দেখার জন্যই ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাশ্মীরিরা। তাই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ফলে ভূস্বর্গের অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব পড়েনি।’
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জঙ্গিরা নাশকতা ছড়াতে পারে। এই সম্ভাবনার কথা মাথায় কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। অর্থনীতির কোনও ক্ষতি হবে না এটা বুঝেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছিল।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.