সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সভ্যতার সবচেয়ে বড় সংকট সন্ত্রাসবাদ (Terrorism)। শনিবার দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন, সোশ্যাল মিডিয়া জঙ্গি সংগঠনগুলির ‘টুলকিটে’ এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, ”সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিশেষত উদার ও মুক্তমনা সমাজে জঙ্গিরা তাদের ক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। তারা প্রযুক্তি, অর্থ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মুক্তমনা সমাজের নীতিকে ব্যবহার করে স্বাধীনতা, সহনশীলতা এবং অগ্রগতিকে আক্রমণ করছে।”
সেই সঙ্গে জয়শংকরের উদ্বেগ, রাষ্ট্রসংঘের যাবতীয় প্রয়াস সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের মাথাচাড়া দেওয়াকে পুরোপুরি রুখে দেওয়া যায়নি। বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকা।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার মাওবাদকে রুখতে প্রধানমন্ত্রী মোদি দাবি করেছিলেন, যে মাওবাদীর হাতে বন্দুক আর যার হাতে কলম, তাদের দু’জনকেই পরাস্ত করতে হবে। তিনি বলেন, শহুরে নকশালরা কলম ধরে তার সাহায্যে তরুণ সম্প্রদায়কে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এটা রুখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, বিশেষজ্ঞের সাহায্যে এই ধরনের সন্ত্রাসকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দমন করতে হবে।
এরপর শনিবারও জয়শংকরের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে করা মন্তব্য থেকে ফের পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে কেন্দ্র যে কোনও ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসকে দমন করতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলছে। উপত্যকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত সম্প্রতি হওয়া জঙ্গি কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে আরও কড়া হওয়ার পরিকল্পনা মোদি সরকারের।
তবে মোদির ‘মাওবাদী’ মন্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। প্রধানমন্ত্রী মাওবাদীদের নির্মূল করার ডাককে ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা। এহেন মন্তব্যে স্বৈরশাসনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে দাবি সিপিএমের। এদিকে তৃণমূলের আশঙ্কা, এর ফলে কেউ কেন্দ্রের বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটলেই তাকে ‘মাওবাদী’ বলে দেগে দেওয়া হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.