সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিমকে কেন বিয়ে করেছেন? পাসপোর্টের নবীকরণে গিয়ে হেনস্তার শিকার গৃহবধূ। অভিযোগের তির পাসপোর্ট অফিসের সরাকারি আধিকারিকের দিকে। অভিযোগ, শুধু হেনস্তাই নয়, মহিলার স্বামী আনাস সিদ্দিকিকে ধর্ম পরিবর্তেনরও পরামর্শ দেন আধিকারিক। একজনের পাসপোর্ট নবীকরণ ও অন্যজনের নতুন পাসপোর্ট তৈরির কাজ ছিল এদিন। অভিযোগ, যার কোনওটাই করেননি ওই আধিকারিক। বরং দুটি পাসপোর্টই আটকে দিয়েছেন। এই ঘটনায় সুবিচারের আশায় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হয়েছেন ওই দম্পতি। তবে অভিযোগের পরেপরেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ওই আধিকারিক। দম্পতিকে তাঁদের পাসপোর্টও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
@SushmaSwaraj behaviour. I have never felt so insulted in the last 12 years of my marriage with my husband. It is my personal choice to choose a name I want to after marriage. This is our family matter and last thing I expected to hear at the passport office was 2/3
— Tanvi Seth (@tanvianas) June 20, 2018
Inter-faith couple harassed at passport office: Husband says, ‘I was told I should change my religion & take ‘pheras’. Wife says, ‘We hope it doesn’t happen to anyone else, in 11 yrs of marriage we never faced this. Later officials apologized & we got our passports.’ #Lucknow pic.twitter.com/cqTIKc50Kc
— ANI UP (@ANINewsUP) June 21, 2018
জানা গিয়েছে, মিশ্র সম্প্রদায়ের ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছে ২০০৭ সালে। তাঁদের সাত বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বিয়ের এত বছর পরে এই ধরনের হেনস্তার ঘটনায় দু’জনেই হতবাক। তাও হেনস্তাকারী একজন সরকারি আধিকারিক। লখনউয়ের বাসিন্দা তনভি শেঠ ও আনাস সিদ্দিকি বর্তমানে নয়ডার একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। ১১ বছর আগে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই পরিবারের এই বিয়েতে কোনও আপত্তি ছিল না। সেজন্য বিয়ে করলেও দু’জনের কেউই তাঁদের নাম বা পদবীর পরিবর্তন করেননি। এজন্য পাসপোর্ট তৈরিতে তাঁদের বেশ কয়েকবার সমস্যায় পড়তে হয়। গত বুধবার সেই সমস্যার সমাধানে পাসপোর্ট অফিসে যান তনভি। বলেন, মুসলিমকে বিয়ে করার জন্য তাঁর পাসপোর্ট তৈরি হয়নি। কেননা তিনি নাম পদবীর পরিবর্তন করেননি। অফিসের আধিকারিক একথা শোনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগ, প্রায় চিৎকার করে ওঠেন ওই আধিকারিক কেন হিন্দুকে বিয়ে করেছেন বলে চেঁচামেচি শুরু করেন। সেই সঙ্গে বলেন, সমস্ত নথিতে নাম ও পদবী বদলে ফেলুন। বলার ধরন এতটাই খারপ ছিল যে অফিসের অন্য আধিকারিকরা কাজ থামিয়ে তনভি শেঠকে দেখতে থাকেন। এতটা অপমানিত বিয়ের পর কোনওদিন হননি। তাই কেঁদেই ফেলেন তনভি। এরপরেই স্বামী আনাস সিদ্দিকিকে ডেকে পাঠান ওই সরকারি আধিকারিক। তাঁকেও নাম ও ধর্ম পরিবর্তনের পরামর্শ দেন তিনি।
@SushmaSwaraj Ma’am I never ever imagined that in a place like passport office we would have a people who are moral policing the citizens. He dint just put my passport on hold he even put my husband’s @5220manas passport on hold. This is clear grudge. I was shocked at this 1/2
— Tanvi Seth (@tanvianas) June 20, 2018
বলাবাহুল্য, এবার নীতি পুলিশের ভূমিকায় সরকারি আধিকারিক। বকাঝকা করার পর ওই দম্পতির যে কোনও একজনকে নাম পদবী ও ধর্ম পরিবর্তন করতে বলেন ওই আধিকারিক। তারপর পাসপোর্টের কাজ স্থগিত করে দিয়ে সহকারী আধিকারিকের কাছে ওই দম্পতিকে পাঠিয়ে দেন। পাসপোর্ট অফিসে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় টুইটারে বিদেশমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ওই দম্পতি। অনুরোধ পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও। ইতিমধ্যেই ওই নীতিপুলিশের ভূমিকায় থাকা আধিকারিককে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন নেটিজেনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.