সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে শোরগোল গোটা দেশে। তার মধ্যেই নীরবে সুদ কমল পাবলিক-প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ-এর। ৭.৮ শতাংশ থেকে সুদ কমে হল ৭.৬ শতাংশ। ফলে মধ্যবিত্তের পকেটে ফের কোপ।
[ দুবাইয়ে কি গা ঢাকা দিয়েছেন নীরব? জেলে ঢোকানোর ইঙ্গিত বাবা রামদেবের ]
প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কোটি টাকা নিয়ে ফেরার নীরব মোদি। আরবিআই ইতিমধ্যেই পিএনবি-র থেকে সে টাকা ফেরত চেয়েছে। কেননা চুক্তি অনুযায়ী, দেশকে টাকা ফেরত দেওয়ার দায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকেরই। কিন্তু এত টাকা আসবে কোত্থেকে। উত্তর নেই কোথাও। নীরব মোদির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে খানিকটা টাকা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তা যৎসামান্য। এই বিপুল পরিমাণ ঘাটতির দায় নিয়ে ব্যাংকিং সেক্টরকে অক্সিজেন জোগানো কীভাবে সম্ভব তা রীতিমতো ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতিবিদদের কাছে। ঠিক এই সময়েই পিপিএফ-এর সুদের হার কমানোয় চিন্তা আরও বাড়ল। দেশের বহু মানুষ, বিশেষত প্রবীণদের অভিযোগ, লুটের চাকা ফেরাতেই কোপ পড়ছে মধ্যবিত্তদের পকেটে। আক্ষরিক অর্থে হয়তো সুদ কমেছে মাত্র ০.২ শতাংশ। কিন্তু এর বিপুল প্রভাব মোটেও কম নয়। সুদ কমার সিদ্ধান্তে তাই রীতিমতো বিক্ষুব্ধ দেশবাসী।
[ব্যাংকে দুর্নীতি রোধে নয়া দাওয়াই, তিন বছর অন্তর অফিসারদের বদলি ]
এ দেশে বহু মানুষেরই পেনশন নেই। বিশেষত অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের। তাঁদের ভরসা এই পিপিএফই। যেখানে সঞ্চয়ের দরুন বয়সকালে জীবন চালানোর মতো ভদ্রস্থ অঙ্কের টাকা পাওয়ার আশা রাখেন তাঁরা। কিন্তু সেই ভরসাটুকুও কার্যত শেষ হয়ে গেল। গত জানুয়ারি থেকে পরিবর্তিত সুদের হার চালু হয়েছিল। এদিকে মার্চ থেকেই আবার এই নয়া হার চালু হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ব্যাংকে একটার পর একটা কেলেংকারি। সেখানে টাকা রাখতেই তাই-ই ভয়ই লাগছে। নোট বাতিলের মতো সমস্যা নাজেহাল করে রেখেছে দেশবাসীকে। তার উপর কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে পিপিএফ-এর সুদের হার। ফলত নিজের সঞ্চয়, নিজের কাছে থাকবে কিনা, তা নিয়েই যেন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। একই মত অর্থনীতিবিদদেরও। যেভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারা ধরা পড়ছে, তার উপর নিত্য নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে, তাতে মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকা ক্রমশ দুর্বিষহই হয়ে উঠবে।
[ ৮০০ কোটির ঋণখেলাপ, সিবিআইয়ের জালে রোটোম্যাক কর্তা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.