Advertisement
Advertisement
ব্রহ্মস

সুখোই-ব্রহ্মস যুগলবন্দিতে আরও ঘাতক হতে চলেছে বায়ুসেনা

২৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে এই মিসাইল।

Integration of Brahmos missiles into Sukhoi fighters fast-tracked
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 10, 2019 9:04 am
  • Updated:June 10, 2019 9:04 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। এই জুড়ে দেওয়ার কাজটি ছিল পূর্ব নির্ধারিত। এই কাজে গতি আনতে এবার উদ্যোগী হল ভারতীয় বিমানবাহিনী। অর্থাৎ, যুদ্ধবিমানে সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র জুড়ে দেওয়ার কাজটি আরও দ্রুততর করা হচ্ছে। ফলে ভারতের যতগুলি সুখোই যুদ্ধবিমান রয়েছে সবগুলিতে আপলোড ও অ্যাক্টিভ করা হচ্ছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রু বিমানের হামলা রুখতে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির সময় যাতে এক মুহূর্তও দেরি না হয় সেজন্য সুখোই-এর স্কেয়াড্রনগুলিকে চূড়ান্তভাবে তৈরি রাখা হচ্ছে। এর ফলে সুখোইয়ের মারণক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

[আরও পড়ুন: আইএস হানায় শ্রীলঙ্কার ক্ষতিগ্রস্ত চার্চে মোদি, সন্ত্রাসবাদকে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]

Advertisement

উল্লেখ্য, এই ব্রহ্মস জুড়ে দেওয়ার কাজটি ছিল অনেক আগের ঘোষিত কর্মসূচি। বায়ুসেনা প্রধান এয়ার মার্শাল ধানোয়া আগেই বলেছিলেন, রাফালে যুদ্ধবিমান হাতে থাকলে বালাকোটের জঙ্গি দমন অভিযান আরও নিখুঁত ও সফল হতে পারত। তাই রাফালে হাতে আসার আগেই ব্রহ্মস দিয়ে সুখোইয়ের স্কোয়াড্রনকে ঢেলে সাজার কাজ চলছে। এই ব্রহ্মস জুড়ে দেওয়ার কাজটি যৌথভাবে করছে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান নির্মাতা সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এবং ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সুখোইয়ের সঙ্গে ব্রহ্মস জুড়ে দেওয়ার কাজ শেষ হবে। আপাতত ৪০টি সুখোই যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র জুড়ে দেওয়া হবে। ২০১৭ সালে এই জুড়ে দেওয়ার কাজটি শুরু হলেও তা চলছিল ধীর গতিতে। এখন তা হবে দ্রুত গতিতে। যদিও জুড়ে দেওয়ার কাজটি খুব জটিল ও সময়সাপেক্ষ। কারণ এর ফলে সুখোই যুদ্ধবিমানের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং সফটওয়্যার সংক্রান্ত ব্যাপক রদবদল ঘটাতে হচ্ছে।

বিমানবাহিনী সূত্রে খবর, ব্রহ্মস-এর নৌ, আকাশ ও স্থল যুদ্ধের সংস্করণ রয়েছে। আকাশ যুদ্ধের জন্য ব্রহ্মসের আলাদা মডেল ও কারিগরি প্রযুক্তি রয়েছে। এটি আড়াই টন ওজনের। শব্দের চেয়ে তিন গুণ গতিতে উড়ে যেতে পারে। উপগ্রহ ও কম্পিউটার মারফত এর গতি ও নিশানা মাঝপথে বদল করা সম্ভব। ২৯০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এটি আঘাত হানতে পারে। বর্তমানে এটি বিশ্বের উন্নততম সুপারসনিক মিসাইল। আন্তর্জাতিক সামরিক সংগঠন মিসাইল টেকনলজি কন্ট্রোল রেজিমের (এমটিসিআর) পূর্ণ সদস্যপদ পেলেই ভারত ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২৯০ থেকে বাড়িয়ে সহজেই ৪০০ কিলোমিটার করতে পারবে। তখন মারণক্ষমতার নিরিখে ভারতের সামরিকবাহিনীর ব্রহ্মস রেজিমেন্ট আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। সুখোই-৩০ এমকেআই যু্ধবিমানে জুড়লে ব্রহ্মস হবে সবচেয়ে ভারী অস্ত্র যা কোনও যুদ্ধবিমান বহন করবে। ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর সুখোই-৩০ থেকে সফলভাবে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, মেটিওর মিসাইলের মতো বিশেষ শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র জুড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানে। এজন্য রাফাল নির্মাতা দাসাউ ভারতীয় বিমানবাহিনীর নির্দেশ মতো কাজ করছে। রাশিয়া থেকে কেনা হচ্ছে দুর্ভেদ্য রক্ষাকবচ এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। অর্থাৎ ত্রিমুখী রক্ষাকবচে (সুখোইয়ে ব্রহ্মস, রাপালে এবং এস-৪০০) ভারতের আকাশ দুর্গে পরিণত করছে বিমানবাহিনী। ফলে চিন ও পাকিস্তানের যৌথ বিমান হামলা প্রতিরোধ করে উপযুক্ত জবাব দেওয়াটা সহজ হয়ে যাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষে।

[আরও পড়ুন: খেলতে গিয়ে ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ল দু’বছরের শিশু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement