Advertisement
Advertisement
Indian Navy

মুহূর্তে মিলবে শত্রুর পরমাণু মিসাইলের সন্ধান, এবার ভারতের হাতে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ

চিন ও পাকিস্তানকে নজরে রেখে নৌসেনাকে মজবুত করে তুলছে ভারত।

INS Dhruv to get first nuclear missile tracking ship INS Dhruv | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 10, 2021 7:07 pm
  • Updated:September 10, 2021 7:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মুকুটে আরও এক সাফল্যের পালক। এবার দেশের প্রথম ‘নিউক্লিয়ার মিসাইল ট্র্যাকিং’ বা ক্ষেপণাস্ত্র সন্ধানী যুদ্ধজাহাজ আসছে ভারতীয় নৌসেনার হাতে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই রণতরীটির নাম আইএনএস ধ্রুব (INS Dhruv)।

[আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া, ধর্ষণ করে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ঢোকানো হল রড]

শুক্রবার বিশাখাপত্তনমের নৌঘাঁটিতে নৌসেনার শীর্ষকর্তাদের উপস্থিতিতে যাত্রা শুরু করতে চলেছে আইএনএস ধ্রুব। প্রায় ১০ হাজার টন ওজনের এই জাহাজটি তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এবং ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন। এতে রয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘active scanned array radar’। প্রতিপক্ষের পরমাণু মিসাইল ও আণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের সন্ধান দিতে সক্ষম এই রাডার। অন্য দেশের গোয়েন্দা উপগ্রহ এবং পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের হদিস দেবে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই রাডার। শত্রুর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে ব্যালেস্টিক মিসাইলও মজুত রয়েছে এই রণতরীতে। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রে প্রতিপক্ষের সাবমেরিনের সন্ধান এমনকী, সমুদ্রতলের গঠন সংক্রান্ত গবেষণার কাজেও সাহায্য করতে সক্ষম আইএনএস ধ্রুব।

Advertisement

চিন ও পাকিস্তানকে নজরে রেখে নৌসেনাকে মজবুত করে তুলছে ভারত। গত আগস্ট মাসে প্রথমবার সমুদ্র সফর শেষ করে সফলভাবে ফিরে আসে বিমানবাহী রণতরী INS Vikrant। দেশে তৈরি সবথেকে শক্তিশালী এই যুদ্ধজাহাজ কোচি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। কলকবজা ঠিক আছে কি না, সমস্ত যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা দেখার জন্যই সমুদ্রে নামানো হয়েছিল বিক্রান্তকে। পরীক্ষামূলক সফরে ফুল মার্কস নিয়েই উত্তীর্ণ হয়েছে কোচি সিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি যুদ্ধজাহাজটি বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর কর্তারা। ৭৬ শতাংশ ভারতে তৈরি করা সামগ্রী দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে বিক্রান্তকে। নকশা থেকে ইস্পাত, সেন্সর সবকিছুই ভারতীয়। দেশীয় পদ্ধতিতে বানানো জাহাজটি ২৬২ মিটার দীর্ঘ এবং প্রস্থে ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। এখানে ডেকের সংখ্যা ১৪। একসঙ্গে ১৭০০ নাবিক থাকতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে গত বছর থেকেই সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে চিন (China)। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতও। জলপথেও বেজিংকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে নয়াদিল্লি। আর সেজন্য ভারতীয় নৌসেনার ইস্টার্ন ফ্লিটের টাস্ক ফোর্সকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ চিন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পাঠানো হয়। চলতি মাসেই ওই অঞ্চলে মোতায়েন থাকবে ভারতের একাধিক যুদ্ধজাহাজ। শুধু তাই নয়, চিনের নাকের ডগাতেই অন্যান্য দেশের সঙ্গে মহড়াতেও অংশ নেবে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তাক্ত পঞ্জশির, তালিবানের হাতে খুন আমরুল্লা সালেহর দাদা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement