সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চিন (China)। কমিউনিস্ট পার্টির জমির খিদে যে কতটা ভয়াবহ, তা গালওয়ান উপত্যকায় বুঝতে পেরেছে ভারত। তাই এবার দ্রুত সেনার আধুনিকীকরণে তৎপর হয়েছে নয়াদিল্লি। সেই পথে এগিয়ে এবার ভারতীয় নৌসেনার হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক রণতরী আইএনএস ধ্রুব ( INS Dhruv)।
সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষের দিকেই নৌসেনার হাতে আসছে অত্যাধুনিক রণতরী ‘ধ্রুব’। প্রতিপক্ষের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা ও মিলিটারি স্যাটেলাইটগুলির উপর নজর রাখতে সক্ষম যুদ্ধজাহাজটি। ফলে শত্রুদেশ মিসাইল হামলার প্রস্তুতি নিলে তা মুহূর্তে জেনে যাবে ভারতীয় ফৌজ। এবং সেইমতো পালটা হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের রণনীতির সমস্ত সমীকরণ পালটে দিয়ে যুদ্ধের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হবে ভারত। তাছাড়া, ভারত মহাসাগরে সমুদ্রতলের মানচিত্র তৈরি করার কাজ করবে ‘ধ্রুব’। এর ফলে ভারতীয় নৌসেনার সাবমেরিন বাহিনী চিনা নৌবহরের উপর অত্যন্ত নিপুণ ভাবে সহজে হামলা চলতে সক্ষম হবে। জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার টন ওজনের এই জাহাজটির ট্রায়াল চলছে ভাইজাগে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির মদতে এই জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO), নৌসেনা ও ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (NTRO)।
উল্লেখ্য, আকার ও আয়তনে ভারতের থেকে অনেকটাই বড় চিনা নৌসেনা। তবে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ও মানের দিক থেকে এগিয়ে ভারতীয় নৌসেনা। তবুও বিশাল চিনা নৌবহরকে রুখে দিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধপ্রযুক্তির দ্রুত সমাহার ঘটাচ্ছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই চতুর্দেশীয় অক্ষ বা QUAD রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। লালফৌজকে নজরে রেখে কোয়াড গোষ্ঠীর চার সদস্য দেশ– ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত আদানপ্রদান গভীর করাই এই মঞ্চের লক্ষ্য বলে প্রাথমিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন নেতারা। বিশেষ করে, চিনকে রুখতে ভারতই যে আমেরিকার ভরসা তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.