সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢাকা নর্দমায় পড়েও ফিরল জীবন। কান্নার আওয়াজেই ফের জীবন ফিরে পেল সদ্যোজাত। ঢাকা নর্দমা থেকে একরত্তিকে প্রায় টেনে বের করলেন মহিলা। তখনও গলায় জড়িয়ে নাভিরজ্জু। খুব সাবধানে জল ঢেলে সদ্যোজাতকে পরিচ্ছন্ন করার পর স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের ভালাসারাভাক্কম এলাকায়। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী মহিলা গীতাদেবীকে তাঁর সাহসিকতার জন্য সবাই ধন্যধন্য করছেন। নেটিজেনরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
স্বাধীনতা দিবসেই জীবন ফিরে পেয়েছে একরত্তি। তার জীবন ফেরাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ছেন গীতাদেবী। তাই সদ্যোজাতর নামকরণও করলেন ওই মহিলা। একরত্তির নাম হল ‘সুথানথিরাম’। তামিল ভাষায় ‘সুথানথিরামে’র অর্থ ‘স্বাধীনতা’। শিশুটিকে বাঁচাতে পেরে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন ওই মহিলা। তৃপ্তির সঙ্গে বললেন, ‘শিশুটি জীবনের স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। আমি খুশি।’
গীতাদেবী জানান, সংসারের কাজকর্ম করছিলেন। দুধওয়ালা সেই সময় ঘণ্টি বাজিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। তিনিই গীতাদেবীকে বলেন রাস্তা লাগোয়া নর্দমা থেকে কান্নার আওয়াজ আসছে। প্রথমে গা করেননি। তারপর কী মনে হতেই দুধওয়ালার সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসেন। নর্দমার কাছে এসে কান পাততেই সদ্যোজাতর চিলচিৎকার। আর দেরি করেননি গীতাদেবী। সাবধানে হাত ঢুকিয়ে একরত্তির পা ছুঁয়ে ফেলেন। হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতেই বুঝতে পারেন নর্দমা থেকে অনায়াসেই একরত্তিকে বের করে আনা যাবে। সঙ্গেসঙ্গেই ক্রন্দনরত সদ্যোজাতকে বের করে গলা থেকে নাভিরজ্জু সরালেন। তারপর স্নান করিয়ে তোয়ালেতে মুড়িয়ে সোজা হাসাপাতাল। ইতিমধ্যেই নর্দমা থেকে শিশু উদ্ধারের গোটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গীতাদেবীর কাজের প্রশংসায় সাড়া পড়েছে সর্বত্র।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সামান্য শ্বাসকষ্ট থাকলেও এখন স্বাভাবিক রয়েছে শিশু সুথানথিরাম। নর্দমাটি শুকনো থাকায় শিশুটির তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। এখন তাকে সরকারি শিশু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ ঘোষণা করেল শিশুদের হোমে পাঠানো হবে। এদিকে সুথানথিরামের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন নেটিজেনরা। আর্থিক সাহায্যের পাশপাশি অনেকেই তকে দত্তক নিতেও আগ্রহ দেখিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.