সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের ‘নম্বর ওয়ান’ সুপারি কিলারের ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি৷ সেই কারণেই শিনা বোরাকে গলা টিপে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো করে অন্যত্র ফেলে না দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছিলেন৷
শিনা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের কুখ্যাত সুপারি কিলার বিজয় পালান্দে অন্য একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার না হলে তাকে দিয়েই নিজের মেয়ে শিনাকে খুন করাতে চেয়েছিলেন শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী৷ সেই পরিকল্পনা মতো ২০১২ সালের এপ্রিলে বিজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা ভাবছিলেন নাইনএক্স মিডিয়ার কর্ত্রী তথা মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখার্জির স্ত্রী ইন্দ্রাণী৷ কিন্তু ঠিক সেই সময়েই খবরের কাগজে বিজয়ের গ্রেফতারির কথা পড়েন তিনি৷ কাক্কড় নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের পর বিজয় কীভাবে তাঁর দেহের টুকরো চিপলান এলাকায় ফেলে এসেছিল এবং পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে বিভিন্ন সূত্র ধরে খুনিকে গ্রেফতার করে তা জানতে পারেন ইন্দ্রাণী৷ ওই খবর পড়ে ও বিজয়ের ভুল জেনে শিনাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছিলেন তিনি৷ কাক্কড়ের দেহের মতো পুলিশ যাতে শিনার দেহের হদিশ না পায় সেটা ভেবে দেহ পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন ইন্দ্রাণী৷ সেইমতোই প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও গাড়িচালক শ্যাম রাইয়ের সাহায্যে মুম্বই থেকে অনতিদূরে রায়গড়ের নির্জন জঙ্গলে শিনার দেহ পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেন ইন্দ্রাণী৷ তা না হলে ইন্দ্রাণী অনেক আগেই ধরা পড়ে যেতেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের৷
২০১৫ সালের আগস্টে অন্য একটি ঘটনায় ধৃত শ্যাম পুলিশি জেরার মুখে শিনা হত্যার কথা ফাঁস করলে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে৷ এরপর একে একে গ্রেফতার হন ইন্দ্রাণী, তাঁর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না, বর্তমান স্বামী পিটার মুখার্জি৷ শিনার হত্যাকারী কে? সেই রহস্যের ফাঁস এখনও খোলেনি৷ তদন্তের কাজে বৃহস্পতিবার দু’টি নতুন অডিও টেপ সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছে৷ টেলিফোনের কথোপকথনের ওই টেপ দু’টিতে পিটার এবং তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলে তথা শিনার প্রেমিক রাহুলের কথোপকথন রেকর্ড রয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.