Advertisement
Advertisement
Organ donor

মরণেও ‘মৃত্যুহীন’! ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গদাতা ছোট্ট ধনিষ্ঠাই হাসি ফোটাল পাঁচ মুমূর্ষূর মুখে

মাত্র কুড়ি মাসেই 'ব্রেন ডেথ' হয়ে যায় দিল্লির এই ছোট্ট মেয়ের।

India’s youngest organ donor at 20 months, Dhanishtha saves five lives in her death | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 14, 2021 2:51 pm
  • Updated:January 14, 2021 2:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর বুকে দু’বছর সময়ও কাটানো হয়নি তার। মাত্র কুড়ি মাসেই ‘ব্রেন ডেথ’ হয়ে যায় দিল্লির (Delhi) ছোট্ট মেয়ে ধনিষ্ঠার। কিন্তু এত অল্প সময়ের জীবনেই সে রেখে গেল এক এমন জলছাপ, যা পূর্ণ সময়েও রাখতে পারে না মানুষ। তার অঙ্গদানের ফলে আবারও হাসি ফুটল পাঁচজন মুমূর্ষূ রোগীর মুখে। সন্তানহারা অভিভাবকদের এমন সিদ্ধান্তে অভিভূত হাসপাতালের ডাক্তাররা।
গত ৮ জানুয়ারি দিল্লির শ্রীগঙ্গারাম হাসপাতালে ভরতি হয় রোহিনী (Rohini) অঞ্চলের বাসিন্দা ধনিষ্ঠা। মাত্র তিনদিনের লড়াই শেষে ১১ জানুয়ারি মৃত্যু হয় তার। ‘ব্রেন ডেথ’ (Brain death) ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। ছোট্ট মেয়েকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন তার বাবা-মা। কিন্তু গভীর শোকেও অন্য অসহায় মানুষদের ভোলেননি তাঁরা। নিজেদের মৃত সন্তানের অঙ্গদান করে কয়েক জন অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন দু’জনে। হাসপাতালের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ধনিষ্ঠার হৃৎপিণ্ড, যকৃত, দু’টি কিডনি ও কর্নিয়া সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে পাঁচজনের শরীরে। তার বাকি অঙ্গও অত্যন্ত ভাল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

[আরও পড়ুন: কে খালিস্তানি বলল ভাবেন না, বিক্ষোভরত কৃষকদের নিরলস সেবা করে চলেছে ইউনাইটেড শিখ]

ছোট্ট মেয়ের মৃত্যুশোকের ঘন অন্ধকারের মধ্যেও কী করে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তার বাবা আশিস কুমার ও মা ববিতা? আশিস কুমার জানাচ্ছেন, ”হাসপাতালে থাকার সময় বহু রোগীর সঙ্গে দেখা হত। তাঁরা হন্যে হয়ে প্রতিস্থাপনের অঙ্গ খুঁজছেন। আমাদের মেয়ে চলে গেলেও সে বেঁচে থাকবে এভাবেই। অনেক অসহায় মানুষকে জীবনদান করে।”
দেশে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষে অঙ্গদানের পরিমাণ মাত্র ০.২৬। যা বিশ্বের সমস্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। সেকথা মনে করিয়ে ধনিষ্ঠার বাবা-মা’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ শ্রীগঙ্গারাম হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডিএস রানা। তাঁর কথায়, ”দেশে প্রতি বছর গড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অভাবে মারা যায়। এই পরিস্থিতিতে ওই পরিবারের এই মহৎ আচরণ বাকিদেরও অনুপ্ররণা জোগাবে এই আশা করি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা, হাসপাতাল ছাড়া করোনার টিকা নেবেন না পুর চিকিৎসকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement