সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে একটি শিশু৷ এটাই প্রকৃতির নিয়ম৷ তবে, হাতের তালুর সাইজের শিশুকে জন্মাতে কেউ দেখেছেন কিনা সেই বিষয়ে আগে সন্দেহ থাকলেও, এখন আর নেই৷ কারণ, এমন আশ্চর্যজনক ঘটনারই সাক্ষী হয়েছেন হায়দরাবাদের রেইনবো চিলড্রেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ হাতের তালুর সমান আকার ও ৩৭৫ গ্রাম ওজন নিয়ে সেই হাসপাতালেই জন্মগ্রহণ করেছে দেশের সবচেয়ে হালকা শিশু, যাকে সকলে ‘বেবি চেরি’ বলে ডাকতে শুরু করেছে সকলে৷ চিকিৎসকরা জানান, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় ২৫ সপ্তাহ বা চার মাস আগে পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করেছে সে৷ তবে, অপরিণত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েও এখন ভাল রয়েছে মা ও সন্তান৷
[খোঁজ মিলল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন পাউরুটির, কত পুরনো জানেন?]
ঘটনার সূত্রপাত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে৷ ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁওয়ের বাসিন্দা নিতিকা আজওয়ানি তখন পাঁচ মাসের গর্ভবতী৷ এর আগে পাঁচবার সন্তান ধারণ করেও শারীরিক সমস্যার কারণে প্রতিবারই গর্ভপাত করাতে হয় তাঁকে৷ ফলে ষষ্ঠ সন্তানকে কোলে পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেন নিতিকা ও তাঁর স্বামী সৌরভ৷ কিন্তু এবারেও তৈরি হয় জটিল সমস্যা৷ স্থানীয় ডাক্তারের নির্দেশে করা আলট্রাসোনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে, মায়ের শরীর থেকে গর্ভাবস্থায় থাকা শিশুর শরীরে রক্ত চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে এবং শিশুর শরীরের পাশে ফ্লুইডের পরিমাণ কম রয়েছে৷ সংবাদ সংস্থাকে দম্পতি জানান, স্থানীয় সমস্ত চিকিৎসক তাঁদের ষষ্ঠ সন্তান জন্মানোর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন৷ তখনই এক বন্ধুর পরামর্শ মেনে হায়দরাবাদের রেইনবো চিলড্রেন হাসপাতালে যান তাঁরা৷
[বন্দিদের যৌনসুখ দিতে মুখমেহনে মহিলা কারারক্ষী, দেখুন ভিডিও]
জানা গিয়েছে, সেখানে পৌঁছে কিছুটা হলেও আশার আলো খুঁজে পান আজওয়ানি দম্পতি৷ দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাঁদের জানান, অপরিণত অবস্থাতেই জন্ম দিতে হবে শিশুর৷ এই ঝুঁকি নিলে তবেই বাঁচার আশা রয়েছে তাঁদের সন্তানের৷ নিতিকার স্বামী সৌরভ জানিয়েছেন, তখন কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ সাতপাঁচ না ভেবেই হাসপাতালের কথায় রাজি হয়ে যান৷ সেই মতো হয় অপারেশন৷ মা ও সন্তানকে বাঁচাতে সমর্থ হন চিকিৎসকরা৷ চিকিৎসক দীনেশ কুমার চিরলাকে এখন ভগবানের দূত বলেই ভাবেন নিতিকা ও তাঁর স্বামী৷ তাঁদের দাবি, কেবলমাত্র চিকিৎসক চিরলার জন্যই বেঁচে গিয়েছে তাঁদের ষষ্ঠ সন্তান৷ জন্মের পর থেকে ১০৫ দিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয় বেবি চেরি বা রিদ্ধিমাকে৷ ৩৮ দিনের মধ্যে তার ওজন ৩৭৫ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম করা হয়৷ নিজেদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে ছোট রিদ্ধিমাকে চিকিৎসকই হিসাবে দেখতে চান নিতিকা ও তাঁর স্বামী সৌরভ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.