সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। সেটাই সত্যি হল। করোনার (Coronavirus) প্রথম ঢেউ ও লকডাউনের (Lockdown) ধাক্কায় বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন রাতারাতি। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে যে বেকারত্বের হার বাড়বে, সেই আশঙ্কা ছিল। এবার সেটাকেই সত্যি করে দেখা গেল এপ্রিলে ভারতে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। অতিমারীর কোপে কাজ হারিয়েছেন (Jobless) ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
গত মার্চেই দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫ শতাংশ। তা রাতারাতি একমাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৯৭ শতাংশে। ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ নামের এক বেসরকারি গবেষণা কেন্দ্র এমনই তথ্য জানিয়েছে। আসলে হু হু করে বাড়তে থাকা সংক্রমণ কমাতে বহু রাজ্যই আংশিক লকডাউন ও নাইট কারফিউ জারি করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের দিকে হেঁটেছে দিল্লি, ওড়িশার মতো রাজ্য। মঙ্গলবার বিহারেও লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। এপ্রিল মাস থেকেই এই টালমাটাল পরিস্থিতি শুরু হওয়ার ফলেই ধাক্কা খেয়েছে এদেশের কর্মসংস্থানের জগৎ। আর তার ফলেই এত বিপুল সংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন।
ওই বেসরকারি কেন্দ্রটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, যেহেতু এই মাসেও মারণ ভাইরাসের দাপট অব্যাহত তাই এই মাসে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
দেশে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এই মুহূর্তে লকডাউন ঘোষণা করা উচিত বলে মত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এইমসের প্রধান ড. রণদীপ গুলেরিয়াও একই মত পোষণ করছেন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই পথে হাঁটবেন কিনা তা সময় বলবে।
কিন্তু এই মুহূর্তেই দেশের বহু রাজ্যের সাময়িক অচলবস্থার প্রভাব পড়ছে কর্মজগতে। যদিও রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার দাবি, পুরোপুরি লকডাউন যেহেতু হয়নি, তাই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গাই রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান কিন্তু সেকথা বলছে না। বরং বাড়ছে উদ্বেগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.