সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে তাইওয়ান (Taiwan) নীতি স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন জানান, ভারতের তাইওয়ান নীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। দ্বীপরাষ্ট্রটির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সম্পর্ক আরও মজবুত করা হচ্ছে।
মাও সে তুংয়ের ‘লং মার্চ’-এর পর তাইওয়ানে আশ্রয় নেয় বিধ্বস্ত কুওমিনটাং তথা চিনা (China) জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থকরা। তারপর থেকেই চিয়াং কাই শেখের নেতৃত্বে নিজেকে গড়ে তোলে দ্বীপরাষ্ট্রটি। আর আজও তা দখল করতে মরিয়া লাল চিন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে তাইওয়ানের বন্দর ও এয়ারপোর্টগুলিকে ঘেরাও করতে পারে লালফৌজ বলে আশঙ্কা। এহেন সময়ে বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি।
রাজ্যসভায় প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন লিখিতভাবে জানান, “তাইওয়ান নিয়ে ভারত সরকারের নীতি অত্যন্ত স্পষ্ট এবং ধারাবাহিক। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে চায় সরকার।” বলে রাখা ভাল, তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই ভারতের। তবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত মহাসাগরে চিনা আগ্রাসনের পালটা তাইওয়ান ইস্যুতে শি জিনপিং প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে মোদি সরকার।
উল্লেখ্য, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন । তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। কয়েকদিন আগেই সেই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে এক বিবৃতি জারি করে চিনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, স্বশাসিত অঞ্চলটির যে সমস্ত রাজনীতিবিদ তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবেন তাঁদের অপরাধী তকমা দেওয়া হবে। তাঁদের কোনওদিন চিনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেখানে তাঁদের কোনও ব্যবসাও করতে দেওয়া হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.