সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার মারে বেসামাল দেশের অর্থনীতি। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউন তথা বিধিনিষেধের জেরে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে উৎপাদন। সোমবার সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, জুন ত্রৈমাসিকে দেশের GDP সংকুচিত হয়েছে ২৩.৯ শতাংশ।
India’s GDP growth falls by 23.9% in April-June quarter. pic.twitter.com/EFbPkBJqWI
— ANI (@ANI) August 31, 2020
এদিন, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিক GDP (gross domestic product) বা মোট দেশজ উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার পরিসংখ্যান দেয় ‘স্ট্যাটিস্টিক্স এণ্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেনটেশন’ মন্ত্রক। অর্থনীতির এহেন সংকোচনে রীতিমতো ধাক্কা খেলেও তা প্রত্যাশিত ছিল বলেই মত অর্থনীতিবিদদের। বিশ্লেষকদের মতে, এপ্রিল, মে ও জুন–এই তিন মাসে দেশজুড়ে প্রায় ৬৮ দিনের লকডাউন ছিল। ওই সময় সমস্ত কল-কারখানা, অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বভাবিকভাবেই ধাক্কা খেছে উৎপাদন। উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে মে মাসের ২৫ তারিখ প্রথম লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে ধাপে ধাপে তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও বেশ কয়েকটি রাজ্যে লাগু রয়েছে বিধিনিষেধ। এছাড়া, যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও বন্ধ। তবে অর্থনীতিবিদের একাংশের মতে, করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই ভারতের GDP বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অনেকটাই থমকে আর্থিক বৃদ্ধির হার। ফলে অর্থনৈতিক সংকোচনের জন্য শুধুমাত্র করোনাকেই দায়ী করা উচিত নয়।
এদিকে, সোমবার শেয়ার মার্কেটেও এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যানের প্রভাব দেখা যায়। তখনও পরিসংখ্যান না এলেও, নেতিবাচক ফলের ভয়ে ও ভারত-চিন সংঘাতের আবহে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়। ফলে সেনসেক্স নেমে যায় ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি। একইভাবে নিফটিও নিম্নমুখী থাকে। উল্লেখ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা করার জন্য সরকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তার পরিমাণ ২১ লক্ষ কোটি টাকা। তার পরেও জিডিপির সংকোচন রোধ করা যায়নি। ১৯৯৬ সাল থেকে ত্রৈমাসিক জিডিপি বিকাশের হার প্রকাশ করা শুরু হয়। তার পর থেকে কখনই মোট জাতীয় উৎপাদনের হার কমেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.