সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি নেতার খুনে তুঙ্গে ভারত-কানাডা দ্বৈরথ। নয়াদিল্লিকে কাঠগড়ায় তুলে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ভাবমূর্তিতে। এই প্রেক্ষাপটে এবার কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলল ভারতীয় সেনা।
বুধবার নয়াদিল্লি-ওটয়া সংঘাত নিয়ে ভারতীয় সেনা সাফ জানিয়েছে, এহেন ঘটনাবলীর কোনও প্রভাব পড়বে না দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে। দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তাতে কোনও পরিবর্তন হবে না। এদিন ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সেনার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (কৌশলগত পরিকল্পনা) মেজর জেনারেল অভিন্ন রায়। তিনি বলেন, “এসব ঘটনায় আমাদের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না। দুই সেনার সম্পর্ক যেমন ছিল তেমনই থাকবে।” তিনি আরও জানান, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের মানেকশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্স। সেখানে হাজির থাকবেন কানাডার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল ওয়েন ইয়ের।
উল্লেখ্য, ফের জেগে উঠেছে খলিস্তানি দৈত্য। ভারত ভেঙে পৃথক দেশ গড়ার স্বপ্নে মশগুল জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের শিষ্যরা। মূলত কানাডা থেকে আইএসআইয়ের মদতে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর এ নিয়েই কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সংঘাত চরমে। বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে চলা এই টানাপোড়েনের নেপথ্যে রয়েছে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর।
কার্যত খলিস্তানিদের (Khalistan) পাশে দাঁড়িয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ইতিমধ্যে এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে নির্বাসিত করেছে ট্রুডোর মন্ত্রিসভা। সোমবারই ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার খানিকক্ষণ পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি জানান, এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। পালটা দেয় ভারতও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.