প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সমুদ্রসৈকতগুলো নোংরা আর দুর্গন্ধে ভরা। মালদ্বীপের মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় পালটা দিয়েছেন দেশের আমজনতা। ইতিমধ্যেই ট্রেন্ডিং হয়েছে হ্যাশট্যাগ বয়কট মালদ্বীপ (Maldives)। তার মধ্যেই বহু নেটিজেনের দাবি, মালদ্বীপযাত্রা বাতিল করছেন তাঁরা। আগে থেকে টিকিট কাটা থাকলেও তা ক্যানসেল করে দিয়েছেন অনেকেই। এহেন পরিস্থিতিতে নাম না করে ভারতের উদ্দেশে বার্তাও দিয়েছে মালদ্বীপ সরকার।
গত ৪ জানুয়ারি সোশাল মিডিয়ায় লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নেটিজেনদের অনেকেই লাক্ষাদ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁদের মতে, বিদেশের সমুদ্রসৈকতে না গিয়ে লাক্ষাদ্বীপেই ছুটি কাটাতে পারেন দেশবাসী। তার পালটা দিতেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন মালদ্বীপের মন্ত্রী জাহিদ রামিজ।
তাঁর মতে, “আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ভুল হবে ভারতের পক্ষে। আমরা যে পরিষেবা দিই, তা ওরা কীভাবে দেবে? কীভাবে ওরা এতখানি পরিচ্ছন্ন হবে? চিরকালীন দুর্গন্ধই তো সব থেকে বড় সমস্যা।” ঘুরিয়ে ভারত এবং ভারতীয় অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা বলেছেন মালদ্বীপের শাসক দলের ওই নেতা। সেখান থেকেই সোশাল মিডিয়ায় তুঙ্গে উঠেছে ভারত-মালদ্বীপ তরজা।
নেটিজেনদের একজন বলেন, “আমার জন্মদিন উপলক্ষে মালদ্বীপে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু মালদ্বীপের মন্ত্রীর এই কথার পর টিকিট ক্যানসেল করে দিয়েছি।” বাতিল হওয়া টিকিটের ছবিও টুইট করেছেন তিনি।
Was planning to go to Maldives for my birthday which falls on 2nd of feb. Had almost finalised the deal with my travel agent (adding proofs below👇)
But immediately cancelled it after seeing this tweet of deputy minister of Maldives. #boycottmaldives pic.twitter.com/hd2R534bjY— Dr. Falak Joshipura (@fa_luck7) January 6, 2024
তবে বিতর্কের মধ্যে মুখ খুলেছে মালদ্বীপ সরকার। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “বিদেশি নেতা ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সেগুলো সংশ্লিষ্ট নেতাদের ব্যক্তিগত মতামত। মালদ্বীপ সরকার তার সঙ্গে একমত নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.