সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে সব প্রেম পরিণতি পায় না। বাস্তবিক, আমাদের সবার জীবনের হয়তো কখনও না কখনও প্রেম এসেছে। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে জীবন কাটার সুযোগ সবার ভাগ্যে জোটে না। পরিবারের চাপে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঘর বাঁধতে হয় অন্য কারোর সঙ্গে। আমাদের দেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটা তো হামেশাই ঘটে। এবার সেই বাস্তবতাকে মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। একটি মামলায় রায় দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারতে বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তকে মানতে হামেশাই নিজের ভালোবাসাকে ত্যাগ করে মেয়েরা।
[মানব ঢাল ব্যবহারের পক্ষে নয় সেনা, বললেন বিপিন রাওয়াত]
ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের। বাড়ি থেকে সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায়, একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রাজস্থানের এক প্রেমিকযুগল। কিন্তু ঘটনাচক্রে ছেলেটি বেঁচে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। নিজের প্রেমিকাকেই খুনের অভিযোগে ছেলেটিকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজস্থানের নিম্ম আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় তাঁর। রাজস্থান হাই কোর্টেও নিম্ম আদালতের রায়ই বহাল রাখে। রাজস্থান হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ওই ছেলেটির পরিবার।
[মেহবুবার সঙ্গে জঙ্গিদের গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ সপা নেতার]
নিজের বয়ানে ওই যুবক জানিয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি মেয়েটির বাড়ি লোক। তাই জয়পুরের একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে তিনি ও তাঁর প্রেমিকা একসঙ্গেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর প্রেমিকা অনেক বেশি পরিমাণ বিষ খেয়ে ফেলায়, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপরই আশেপাশের লোকদের খবর দিতে ওই যুবক নির্মীয়মাণ বাড়িটির বাইরে বেরোন। ফিরে এসে প্রেমিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
[বেতন মেটাতে অসমর্থ দুই বোনকে প্রায় নগ্ন করে বাড়ি পাঠাল স্কুল]
অভিযুক্তের বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে রাজস্থান হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি একে শিখরি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘ ঘটনাস্থল থেকে মালা চুড়ি, ও সিদুঁর উদ্ধার হয়েছে। এমন তো হতেই পারে, মেয়েটি প্রথমে ‘অনিচ্ছা’ সত্ত্বেও বাড়ির পছন্দ করা পাত্রকেই বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল। পরে মত বদল করে। ভারতে তো মেয়েরা হামেশাই নিজের ভালোবাসাকে বলি দিয়ে ‘অনিচ্ছা’ সত্ত্বেও বাড়ির সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।’ প্রসঙ্গত, এই বিয়ে যে তাঁদের মত ছিল না, সেকথা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছেন মেয়েটির বাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.