সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও, চিনের চেয়ে অতল সমুদ্রে শত্রুর মোকাবিলায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ভারত৷ পাক নৌসেনার মোকাবিলা করতে পারলেও চিনের নৌ-বাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিতে অনেক কম সংখ্যক সাবমেরিন মজুত রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রাগারে৷ এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে নেভাল অ্যানালিসিস৷
[প্রভুর প্রাণ বাঁচাতে একাই ৩ সিংহের সঙ্গে লড়াই পোষ্য কুকুরের]
The Asian submarine forces by subregion in 2018, at https://t.co/4xBt7AD4G9
#1. East Asia pic.twitter.com/CS094PT3ke— Naval Analyses (@D__Mitch) July 22, 2018
প্রকাশিত তথ্যে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের হাতে রয়েছে মাত্র দুটি ডিজেল চালিত সাবমেরিন এবং পাকিস্তানের রয়েছে মাত্র পাঁচটি ডিজেল সাবমেরিন৷ আরও আটটি ডিজেল সাবমেরিন চিনের কাছ থেকে ক্রয় করছে পাকিস্তান৷ পাশাপাশি, ভারতীয় নৌসেনার হাতে রয়েছে ১৫টি ডিজেল চালিত সাবমেরিন, পারমাণবিক অস্ত্রবহণে সক্ষম ও পারমাণবিক শক্তি চালিত দুটি সাবমেরিন ও আইএনএস চক্র নামের একটি পারমাণবিক সাবমেরিন৷ তুলনায়, অনেক বেশি শক্তিশালী চিন৷ জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের কাছে মজুত রয়েছে সর্বমোট ৭৮টি সাবমেরিন৷ যার মধ্যে ছয়টি ৭২০০ কিলোমিটার দূরে শত্রুকে ধ্বংস করতে পারে এমন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম, ১৪টি পারমাণবিক শক্তিচালিত ও ৫৮ টি ডিজেলচালিত৷
[দাম্পত্য কলহের জের, নাবালিকা কন্যাকে পিটিয়ে খুন করল মা]
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভারতীয় নৌসেনার হাতে থাকা সাবমেরিনগুলির তুলনায় অনেকাংশে প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত চিনা সাবমেরিনগুলি৷ আর সেই শক্তিতে বলিয়ান হয়েই বারবার ভারত মহাসাগর ও তার পার্শ্বর্বতী অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে তৎপর হতে দেখা যায় বেজিংকে৷ যা নিয়ে বেশ সতর্ক নয়াদিল্লিও৷ সতর্কতা স্বরূপ ইতিমধ্যেই সেসলসের সামুদ্রিক উপকূলে নৌসেনা ঘাঁটি নির্মাণের জন্য চুক্তি করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক৷ তবে চিনের দাপাদাপি কমাতে নয়াদিল্লিকে আরও বেশি উদ্যোগ নিতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.