Advertisement
Advertisement
Indian Army

গালওয়ানের পর সিকিমের নাকু লা! লাল ফৌজের সঙ্গে হাতাহাতি, অনুপ্রবেশ রুখলেন ভারতীয় জওয়ানরা

দু'দেশের আলোচনার আবহেই ফের উসকানি চিনের।

Indian soldiers thrash, push back Chinese army at Naku La in Sikkim; 20 PLA soldiers injured | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:January 25, 2021 12:02 pm
  • Updated:January 25, 2021 12:25 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) আগেই ফের সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চিনের। একদিকে যখন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত (India) ও চিনের (China) সেনা আধিকারিকরা ১৫ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক সারছেন, অন্যদিকে সেসময়ই ফের লাল ফৌজের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, লাদাখ-গালওয়ানের নর্থ সিকিমের (North Sikkim) নাকু লা সীমান্ত থেকে এদেশে ঢোকার চেষ্টা এবার করেছিল PLA সেনারা। তবে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও ভারতীয় সেনার তৎপরতায় চিন সেনার সেই প্রচেষ্টা একেবারেই ভেস্তে গিয়েছে। 

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে গালওয়ানের মতোই নাকু লাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লাল ফৌজ। রুখে দাঁড়ান ভারতীয় জওয়ানরা। শেষপর্যন্ত গালওয়ানের মতোই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’দেশের সেনা জওয়ানরা। ভারতীয় সেনার পালটা মারে পিছিয়ে যায় লাল ফৌজ। এই ঘটনায় ২০ জন চিন সেনা আহত হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে, আঘাত পেয়েছেন ৪ ভারতীয় জওয়ানও। শেষ পাওয়া খবরে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে, তবে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা।

Advertisement

 

এদিকে, সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারত-চিন নবম দফার বৈঠকেও বেরল না স্পষ্ট রফাসূত্র। এদিন ১৫ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে চিনকে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। সীমান্ত থেকে চিন সেনাকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবিও জানান ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা। পাশাপাশি লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি (LAC) বরাবর বেশ কিছু জায়গা নিয়ে যে সমস্যা চলছে, সেগুলো নিয়ে পুনরায় পর্যালোচনার কথাও বলা হয়। রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ আকসাই চিনের মলদো এলাকাতে চিনের সেনা দপ্তরে বৈঠকে বসেছিল দু’দেশের সেনা আধিকারিকরা। যা শেষ হয় সোমবার ভোর রাত আড়াইটে নাগাদ। সেখানেই চিনকে স্পষ্টভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হয়।

[আরও পড়ুন: ‘ঐতিহাসিক ভুলের সমাপ্তি’, বাবরি মসজিদ ভাঙার ‘স্বীকারোক্তি’ প্রকাশ জাভড়েকরের]

গত বছরের মার্চ মাস থেকে পূর্ব লাদাখে চলছে চিনা ফৌজের আগ্রাসী গতিবিধি। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পাহাড় চূড়া পালটা দখল করে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। ইতিমধ্যে সীমান্তে সংঘাত এড়াতে ও বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে কোর কমান্ডার স্তরের আট দফা আলোচনা হয় লালফৌজ ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে। কিন্তু রফাসূত্র মেলেনি। আর নবম বৈঠকের আবহেই ফের এভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চিনা সেনার।

তবে শুধু অনুপ্রবেশের চেষ্টা নয়, চুক্তি ভেঙে লাদাখ সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্টগুলিতে সেনা সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়াচ্ছে চিন। যদিও পিপলস লিবারেশন আর্মির এই পদক্ষেপের উপর সতর্ক নজর রেখেছে ভারতও। উপগ্রহ চিত্র এবং গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা, কমান্ডো এবং মার্শাল আর্ট জানা যোদ্ধা ও স্পেশাল ফোর্সের সংখ্যা বাড়াচ্ছে পিএলএ।

তবে ভারতীয় সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, এই অবস্থায় যা করা উচিত ভারত তাই করছে। অর্থাৎ চিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমান সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে ফরোয়ার্ড পোস্টগুলিতে। ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, আর্টিলারি দিয়ে দুর্ভেদ্য করা হচ্ছে সীমান্তকে। তৈরি রাখা হচ্ছে স্পেশাল ফোর্সের বিভিন্ন শাখাকেও। লাদাখ এখন মাইনাস তিরিশ থেকে চল্লিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তুষার মরুতে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও চিনের বাড়তি সেনা মোতায়েন নিয়ে অতি সতর্ক ভারতীয় সেনা।

[আরও পড়ুন: কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে বিশৃঙ্খলার ছক! তিনশোর বেশি টুইটার হ্যান্ডেল তৈরি পাকিস্তানে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement