সুব্রত বিশ্বাস: করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এসি কামরায় লিনেন পরিষেবা দেওয়া বন্ধ রেখেছে রেল। কিন্তু সাময়িক না হয়ে এই ব্যবস্থা এবার স্থায়ী হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা। অর্থাৎ আগামী দিনে এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন যাত্রীরা। সম্প্রতি রেলকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বোর্ড মেকানাইজ মেগা লন্ড্রি চালানো সম্ভব কি না তা নিয়ে এক কমিটি গঠন করে তাদের বিষয়টি যাচাই করতে দেওয়া হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বহুযুগ ধরে এই লিনেন পরিষেবা রেলের সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত। এসি কামরায় বালিশ, কম্বল, সিট ও হ্যান্ড টাওয়েল দেওয়ার রীতি রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আতঙ্কে এই লিনেন প্যাকেজ দেওয়া অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে রেল। কামরার তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের করুর সেই তাপমাত্রা অসহনীয় হলে তিনি বাড়ির থেকে কম্বল, চাদর আনতে পারেন বলে রেল জানিয়ে দেয়। এরপর কুড়িটি ডিভিশনে রেল লিনেন বিক্রির অনুমোদিত স্টল দেয় স্টেশনগুলোতে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আঠারো লক্ষ লিনেন রেলে ব্যবহার হয়। প্রতিটি কাপড় ধোয়ার খরচ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পড়ে। একটি কম্বলের গড় আয়ু প্রায় চার বছর। এবার এই খরচ কমাতে চেয়ে রেল লিনেন বাতিলের পরিকল্পনার দিকে হাঁটছে।
এই পরিকল্পনা খুব ভয়াবহ বলে দাবি তুলেছে রেলের কর্মী সংগঠন। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগ করেন, পুরো বিষয়টির সঙ্গে জড়িত রেল ও ঠিকা কর্মীদের সংখ্যা প্রায় দু’লক্ষ। প্রতিটা ডিভিশনে রয়েছে মেকানাইজড মেগা লন্ড্রি। সেখানে ধোলাই কাজে যুক্ত রয়েছেন অসংখ্য ঠিকাকর্মী। রেল থেকে লিনেন নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসার কাজেও যুক্ত রয়েছে বহু কর্মী। রেলের এই পণ্যের হিসাব রাখা থেকে বিপণন ও গাড়িতে বণ্টন করার জন্যে রেলকর্মী রয়েছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় দু’লক্ষ। দেশের চরম পরিস্থিতি এত মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়লে সাংঘাতিক বিপদ হবে বলে তিনি জানান। এই পরিকল্পনা বাতিলের দাবিতে তারা আন্দোলনে নামবেন বলে জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.