সুব্রত বিশ্বাস: করোনার ত্রাসকে সরিয়ে মানুষজনের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বণ্টনের জন্য রেল চালাচ্ছে ‘অন্নপূর্ণা ট্রেন’। দু সপ্তাহে প্রায় তিন মেট্রিক টন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ‘অন্নপূর্ণা’ মূলত পাঞ্জাব থেকে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, গোয়া, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও অসমে । প্রায় ৮০ কোটি মানুষের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ‘অন্নপূর্ণা’ পৌঁছে দিয়েছে গন্তব্যে। মূলত, পাঞ্জাব থেকে উত্তর রেলের তৎপরতায় এই ট্রেন চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এফসিআই, আইটিসি সাহা নানা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে ট্রেনগুলি।
পাশাপাশি কম পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী ও ব্যবহার্য জিনিস পৌঁছাতে পার্সেল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। খাবার, দুধ, ডিম, ওষুধ, মাস্ক, পিপিই, পেট্রোলের মতো অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী পৌঁছাতে এই পার্সেল ট্রেন চালানো হচ্ছে। যা মালগাড়ির চেয়ে দ্রুততম। পূর্ব রেল হাওড়া থেকে গুয়াহাটি, জামালপুর, দিল্লি, মুম্বই ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল সেকেন্দ্রাবাদ, যশবন্তপুর, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, আন্ডাল, নাগপুর, বিলাসপুরের মাঝে চলছে পার্সেল ট্রেন। অন্নপূর্ণার ভাড়ার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কোনও ছাড় না থাকলেও পার্সেল ট্রেনে রাজধানীর স্কেলের ভাড়ার পরিবর্তে প্যাসেঞ্জার স্কেলের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে রেল জানিয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলা লকডাউনের জেরে চাপ পড়েছে খাদ্য সরবরাহে। সড়ক পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় একাধিক রাজ্যের সীমান্তে থমকে রয়েছে বহু পণ্যবাহী ট্রাক। ফলে খাদ্য বণ্টনে ভারসাম্য বজায় রাখার একমাত্র পথ রেল। এর আগে, রেল বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছিল, জরুরি পরিষেবা দ্রুত করতে পণ্য বোঝাই ট্রাক ফ্ল্যাট রেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে সড়ক পথের সব ঝামেলা এড়িয়ে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে ট্রাকগুলি। যাতে থাকছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। করোনা রুখতে দেশে মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এহেন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যগুলি, বিশেষ করে অসমতল ও দুর্গম এলাকাগুলিতে সড়কপথে পণ্য সরবরাহ নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েইছে। তাই মুশকিল আসান করে মাল বোঝাই ট্রাকগুলিকে মালগাড়ির ফ্ল্যাট রেকে তুলে বিভিন্ন এলাকায় সহজে এবং কম খরচে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.