ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামের পাশে সুপারফাস্ট। অতএব বাড়তি ভাড়া দিতে হবে। এই ছকে উত্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ মধ্য রেল যাত্রীদের থেকে ১২ কোটি টাকা রোজগার করেছিল। আর পরিষেবা। যত কম বলা যায়, ততই ভাল। সুপারফাস্ট ট্রেনের ৯৫ ভাগ লেট। দিনের পর দিন সুপারফাস্টের নামে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ট্রেন দেওয়া খাবার খাওয়ার অযোগ্য বলে রিপোর্ট দিয়েছে ক্যাগ। এমন পরিস্থিতিতে সুপারফাস্টের এই রিপোর্ট রেলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে।
সুপারফাস্ট ট্রেনে উঠেছেন। ভাবছেন একটু বাড়তি খরচ হয়েছে, তবে এক্সপ্রেসের মতো অজস্র স্টপেজে দাঁড়াতে হবে না। নির্দিষ্ট সময়েই গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। ভারতীয় রেলের সৌজন্যে সুপারফাস্ট ট্রেন এখন সুপার স্লো। আপনার থেকে টিকিট পিছু বাড়তি টাকা নিলেও গতি এক্সপ্রেস কিংবা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মতো। সম্প্রতি উত্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ মধ্য রেলের একটি রিপোর্টে স্পষ্ট বেশি ভাড়া নিলেও যাত্রীদের পরিষেবা থেকে রেল বঞ্চিত করছে। রিপোর্ট বলছে রেলের এই দুই জোনে মাত্র ৫ ভাগ ট্রেন সময়মতো চলে। ৯৫ শতাংশ ট্রেনের কোনও টাইম টেবিল নেই।
রেলের খাতায় সুপারফাস্ট ট্রেনের গতি ঘণ্টায় অন্তত ৫৫ কিলোমিটার। সুপারফাস্টে ওঠার জন্য জেনারেলে ১৫ টাকা, স্লিপারে ৩০ টাকা, এসিতে ৪৫ টাকা এবং এসি ফার্স্ট একজিকিউটিভে টিকিট পিছু বাড়তি ৭৫ টাকা নেওয়া হয়। অভিযোগ, বাড়তি অর্থ দিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাত্রীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন। দুটি রেল জোন এই বাড়তি লেভির জন্য ১১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা আয় করেছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে নামের পাশে সুপারফাস্ট থাকলেও সিংহভাগ ট্রেন এই গতি তুলতে পারে না। তবে ট্রেন লেট হলেও যাত্রীদের টাকা ফেরত পাওয়ার জায়গা কার্যত বন্ধ। এক রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, রেলের ট্র্যাক, সিগন্যাল, ব্রেকের সমস্যার ট্রেনের দেরি হয়। উদাহরণ হিসাবে রিপোর্ট বলছে, কলকাতা-আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট সুপারফাস্ট ট্রেনটি ১৪৫ দিনের মধ্যে ১৩৮ দিনই দেরিতে চলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.