সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনকে চিন্তায় ফেলে জলপথে আরও শক্তিশালী ভারত। বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী যুদ্ধজাহাজ থেকে এবার ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের (BrahMos Supersonic Cruise Missile) সফল উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় নৌবাহিনী।
নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাহিনীর ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির রণতরী থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। ব্রহ্মসের সফল উৎক্ষেপণের পর এই ঘাতক যুগলবন্দি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নৌসেনা আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, “জাহাজ এবং যুদ্ধাস্ত্র দুটিই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। মাঝসমুদ্রের এই সফল উৎক্ষেপণ প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার প্রকৃত উদাহরণ।”
উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ব্রহ্মস (Brahmos) ক্ষেপণাস্ত্র। গতিবেগ ২.৮ ম্যাক। অর্থাৎ শব্দের থেকেও প্রায় তিনগুণ দ্রুতগতিতে মিসাইলটি উড়তে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে ব্রহ্মস। যে কোনও টার্গেটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হামলা চালাতে পারে। ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথ্বী’র মতো ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতোই মারাত্মক এই ক্রুজ মিসাইল। একবার এই মিসাইল ছোড়া হলে শত্রুর পক্ষে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব।
১৯৯৮ সালে ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’। ব্রহ্মপুত্র ও মস্কো নদীর নামে নামকরণ করা হয় সংস্থাটির। এদেরই তৈরি অত্যাধুনিক ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। ২০০৬ সালে ভারতীয় স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Missile)। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৪০০ কিলোমিটার করা হয়। এবার ভারতীয় বায়ুসেনার হাতেও আসছে ব্রহ্মস।
বলে রাখা ভালো, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে আতঙ্কিত বিশ্ব। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। সুযোগ বুঝে ঘোলা জলে মাছ ধরতে অর্থাৎ তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে চিন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও করতে পারে কমিউনিস্ট দেশটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.