Advertisement
Advertisement

নয়া অ্যান্টি-সাবমেরিন রণতরী ‘আইএনএস কিলতান’ নিয়ে তৈরি নৌসেনা

জেনে নিন এমন সব তথ্য, যা আপনাকে বুঝিয়ে দেবে দেশের নৌসেনা কতটা শক্তিশালী।

Indian Navy gets anti-submarine warfare corvette INS Kiltan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 16, 2017 4:45 am
  • Updated:October 16, 2017 4:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রুপক্ষের যে কোনও সাবমেরিনকে ধ্বংস করতে ভারতের নবতম করভেট ক্লাসের অ্যান্টি-সাবমেরিন রণতরী আইএনএস কিলতান সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে। বিশাখাপট্টমের ইস্টার্ন ন্যাভাল কমান্ডে এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও নৌসেনার চিফ অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বার উপস্থিতিতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই করভেট ক্লাসের অ্যান্টি-সাবমেরিন রণতরী নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে। এটি ভারতের তৃতীয় সাবমেরিন-বিধ্বংসী করভেট।

[প্রতিরক্ষা বিভাগকে ঢেলে সাজাতে তৈরি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ]

DMLfP2gU8AEUK9T

Advertisement

৭৮০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট ২৮-এর আওতায় তৈরি হয়েছে আইএনএস কিলতান। এর আগে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে আইএনএস কামোর্তা ও ২০১৫ সালের নভেম্বরে আইএনএস কাদমাত ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস (GRSE) ২০১২-র জুন থেকে কিলতান তৈরি করছিল। নেভির ডিরেক্টরেট অফ ন্যাভাল সিজান এটির নকশা তৈরি করে। সুইডেন থেকে আমদানি করা বিশেষ কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি এটিই প্রথম ভারতীয় রণতরী। অন্য যে কোনও রণতরীর চেয়ে অন্তত ১০০ টন হালকা আইএনএস কিলতান। ভারতের করভেট ক্লাস রণতরীর ওজন ৩১৭০ টন করে পূর্বনির্ধারিত হলেও আগের দু’টির ওজন যথাক্রমে ৩,৩৮৪ ও ৩,৪৯০ টন। ফলে প্রথম করভেটটি ২৩.৯ নট ও দ্বিতীয়টি ২২.৮ নট বেগে চলতে পারলেও কিলতানের গতিবেগ হবে ২৫ নট। একটানা ৩৪৫০ নটিক্যাল মাইল চলতে পারবে এটি। এতে থাকবেন ১৩ জন ক্রিউ-অফিসার ও ১৭৮ জন নাবিক।

যে কোনও সাবমেরিন-বিধ্বংসী করভেটে থাকে টর্পেডো, রকেট লাঞ্চার, হেলোবোর্ন টর্পেডো ও ডেপথ লঞ্চার। চলার সময় সমুদ্রের নিচে শব্দ কমিয়ে আনা, শত্রুর রাডারে ধরা না পড়া- এই ধরনের করভেটগুলির বৈশিষ্ট্য। একে বলে ‘স্টেলথ মোড’। সবমিলিয়ে প্রায় ১৮ রকমের স্পেশ্যাল ফিচার রয়েছে ভারতের নয়া করভেটে। ভারতের আগের দু’টি করভেটে টর্পেডো, মাইন, সাবমেরিন ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকলেও শত্রুকে শনাক্ত, চিহ্নিত ও অনুসরণ করার ক্ষমতায় খানিকটা ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু নয়া করভেটে সেই সব খামতি নেই। এতে রয়েছে হেভি ওয়েট টর্পেডো, এএসডব্লিউ রকেট, ৭৬ এমএম ক্যালিবারের মিডিয়াম রেঞ্জ অগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি মাল্টি ব্যারেল ৩০ এমএম আগ্নেয়াস্ত্র। লাক্ষাদ্বীপ ও মিনিকয় দ্বীপের মাঝে অবস্থিত কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপের নাম অনুসারে নতুন রণতরীটির নাম রাখা হয়েছে কিলতান। দ্রুতই এই নয়া রণতরীর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হবে বলে নৌসেনা সূত্রে খবর।

দেখুন এই নয়া রণতরীর বিধ্বংসী ক্ষমতা:

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement