সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএনএস বিক্রান্তের পর আজ চিরতরে অস্তাচলে চলে যাচ্ছে মেয়াদ-উত্তীর্ণ ‘আইএনএস বিরাট’৷
১৯৫৯-এ ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি-তে তাকে আদর করে ডাকা হত ‘গ্র্যান্ড ওল্ড লেডি’ নামে৷ ১৯৮৭ সালে ভারত সরকার প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে সেই ঐতিহাসিক ‘আইএনএস বিরাট’ কিনে নেওয়ার পর সোমবার কর্মজীবন থেকে অবসর নিচ্ছে দেশের সবচেয়ে পুরনো এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার৷
#INSViraat At sunset 2day, the Naval Ensign & Commissioning pennant of Viraat shall be hauled down 4 the very last time @SpokespersonMoD pic.twitter.com/h2CABkPzki
— SpokespersonNavy (@indiannavy) March 6, 2017
ভারতীয় নৌসেনার মুখ বলা হত বিরাটকে৷ দেশের সবচেয়ে সবচেয়ে পুরনো এই রণতরী ১৯৮৭-র ২ মে থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্য৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম রয়েছে সেটির৷ ভারতীয় নৌবাহিনীর সবথেকে দ্রুতগামী বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিরাটের অবসরের খবরে তাই খানিকটা বিমর্ষ নৌবাহিনীর প্রবীণ সদস্যরা। ২২৬.৫০ মিটার লম্বা, ৪৮.৭৮ মিটার চওড়া এই রণতরীতে ১৫০ জন অফিসার ও প্রায় ১৫০০ জন নাবিক কাজ করতেন৷ আপাতত অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এই রণতরীকে মিউজিয়াম হিসাবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে৷ ২০১৭-র মাঝামাঝি সময়ে বিশাখাপত্তম বন্দরে আইএনএস বিরাট লাক্সারি হোটেল তথা মিউজিয়াম হিসাবে শোভা পাবে৷
ব্রিটিশ রয়্যাল নেভিতে এই রণতরীর নাম ছিল এইচএমএস হার্মেস৷ আইএনএস বিরাট হয়ে ওঠার পর তার মূল লক্ষ্য ছিল, ‘জলমেব যস্য, বলমেব তস্য৷’ অর্থাৎ, যে জলপথকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে, সেই হবে সর্বশক্তিমান৷ সপ্তদশ শতকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সেই উক্তিকেই যেন ছত্রে ছত্রে সফল করে দেখিয়েছিল বিরাট৷ হোয়াইট টাইগার স্কোয়াড্রনের মিগ ২৯ কেইউবি, রুশ কামভ-৩১ হেলিকপ্টার নিয়ে সমুদ্রের বুক চিরে বেড়াত বিরাট৷ ১৯৮৯-এ শ্রীলঙ্কায় শান্তি রক্ষা অভিযান, ২০০১-০২ সালে ‘অপারেশন পরাক্রম’-এর সময় বিরাট ছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্যতম প্রধান স্তম্ভ৷ বিরাট অবসর নেওয়ার পর নৌবাহিনীতে আর মাত্র একটিই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার অবশিষ্ট রইল, আইএনএস বিক্রমাদিত্য৷ সম্প্রতি, রাশিয়া থেকে এই ৪০ হাজার টনের কিয়েভ-শ্রেণির এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার কিনেছে ভারত।
#INSViraat Countdown1day2go Adm Sunil Lanba CNS & Adm Sir Philip Jones 1st Sea Lord to attend Decommissioning ceremony @SpokespersonMoD pic.twitter.com/77xaQEAmCr
— SpokespersonNavy (@indiannavy) March 5, 2017
অন্যদিকে, কোচির বন্দরে নির্মাণের প্রায় শেষ লগ্নে রয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আইএনএস বিক্রান্ত শ্রেণির আরও এক রণতরী। সেটি ২০১৮ সালে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা। একইসঙ্গে, ভারতের আরও একটি বড় মাপের বিমানবাহী রণতরীর নকশা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ৬৫ হাজার টনের ওই জাহাজের নাম ‘আইএনএস বিশাল’। তবে, এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয় ভারত। আরও একটি অতিরিক্ত বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হাতে নিয়ে ভারত বিশ্ব সুপারপাওয়ার হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যেতে চাইছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিশ্বের তথাকথিত সুপারপাওয়ারদের হাতে যে ধরনের এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার আছে, ভারত চাইছে তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে।
#INSViraat Countdown 4days2go.This aircraft carrier holds the Guinness Book record 4 longest serving warship of the world. @SpokespersonMoD pic.twitter.com/19GMbDULE1
— SpokespersonNavy (@indiannavy) March 2, 2017
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.