সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নাকি ১৮তেই বিয়ের পিড়িতে বসতে পারবেন ছেলেরা। এমনই নাকি আইন আনতে চলেছে মোদি সরকার। অন্তত এমনটাই শোনা যাচ্ছে নয়াদিল্লিতে কান পাতলে। মোদি সরকার নাকি ২০০৬-এর বিবাহ আইনে পরিবর্তন আনতে পারে। আর তাতে ছেলেদের বিয়ের বয়স কমিয়ে ২১ থেকে ১৮ করা হতে পারে। একই সঙ্গে বাল্যবিবাহ পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হবে বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
২০০৬ সালের বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর আর মেয়েদের ১৮ বছর। মোদি সরকার নাকি এই আইন বদলে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর করতে চলেছে। এই প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক মন্ত্রকের মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি। এই বৈঠকে আরও একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহকে কোনও অবস্থাতেই বৈধতা দেওয়া হবে না। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র ও পাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাঁদের বিবাহে সম্মতি দেওয়া হয়। ততদিন তাঁদের আলাদা থাকতে হয়। সরকারের বর্তমান প্রস্তাব যদি পাশ হয় সেক্ষেত্রে কোনও অবস্থাতেই বাল্যবিবাহকে মান্যতা দেওয়া হবে না।
গত ১৮ অক্টোবর মোদি মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রীরা আলোচনায় বসেন। সেই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। সেখানেই আলোচনা হয় বিয়ের বয়স কমানো এবং বাল্যবিবাহ বাতিল করা নিয়ে। সব ঠিক থাকলে আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই বিবাহ আইনে সংশোধনী আসতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের এবং সাধারণ মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে ছেলেদের বিবাহের বয়স কমানোর দাবি উঠছিল। যুক্তি হল, ১৮ বছর বয়সেই যখন একজন পুরুষ আইনসম্মতভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাচ্ছে তখন বিয়েতে আপত্তি কোথায়। ১৮ বছর বয়সে যদি ভোটদানের অধিকার পাওয়া যায়, তাহলে বিবাহের অধিকারও প্রাপ্য বলে মনে করেন অনেকে। তাদের দাবিকে মান্যতা দিতেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদি সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.