Advertisement
Advertisement
Indian coast guard

হামলা চালাতে সাহস পাবে না প্রতিপক্ষ, এবার চেন্নাই উপকূলে প্রহরীর ভূমিকায় ‘বজ্র’

এবার আরও সুরক্ষিত দেশের জলসীমা।

Indian Coast Guard gets one more ship named 'Vajra' | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 25, 2021 8:56 am
  • Updated:March 25, 2021 8:56 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আরও সুরক্ষিত দেশের জলসীমা। উপকূলীয় অঞ্চলে নজরদারি চালাতে টহল শুরু করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজিরদারি জাহাজ ‘বজ্র’। বুধবার থেকে কাজ শুরু করেছে বজ্র বলে জানিয়েছে চেন্নাই পোর্ট ট্রাস্ট।

[আরও পড়ুন: আরও ১০১টি প্রতিরক্ষা পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে ভারত]

উপকূলের সুরক্ষায় বজ্র কাজ শুরু করার সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে এই নজরদারি জাহাজ আসার ফলে ভারতের ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল অঞ্চল এবং ২০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল সুরক্ষিত থাকবে। সেই সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য ভারতের জলপথ ব্যবহারকারী ১ লক্ষেরও বেশি বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে বজ্র। নৌসেনা সূত্রে খবর, জল সংরক্ষণ এবং জাহাজ নির্মাণে ভারত সবসময় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই বজ্র নির্মাণের কাজ করেছে এল অ্যান্ড টি শিপ বিল্ডিং।

Advertisement

মূলত, মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় ওই সংস্থার সাতটি এই ধরনের জাহাজ তৈরির কথা। তার মধ্যে বজ্র হল ষষ্ঠ। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই জাহাজ তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজ হাতে পাওয়ার ফলে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরদারি, তল্লাশি ও উদ্ধার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ উপকূল বাহিনী হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার পাশাপাশি ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে সন্ত্রাস দমন এবং মাদক দ্রব্য চোরাচালান রোধে দিনরাত কাজ করবে বজ্র। জাহাজটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দুটি নেভিগেশন রেডার এবং সর্বাধুনিক নৌচালনা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষের দিকেই নৌসেনার হাতে আসছে অত্যাধুনিক রণতরী ‘ধ্রুব’। প্রতিপক্ষের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা ও মিলিটারি স্যাটেলাইটগুলির উপর নজর রাখতে সক্ষম যুদ্ধজাহাজটি। ফলে শত্রুদেশ মিসাইল হামলার প্রস্তুতি নিলে তা মুহূর্তে জেনে যাবে ভারতীয় ফৌজ। এবং সেইমতো পালটা হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের রণনীতির সমস্ত সমীকরণ পালটে দিয়ে যুদ্ধের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হবে ভারত। তাছাড়া, ভারত মহাসাগরে সমুদ্রতলের মানচিত্র তৈরি করার কাজ করবে ‘ধ্রুব’। এর ফলে ভারতীয় নৌসেনার সাবমেরিন বাহিনী চিনা নৌবহরের উপর অত্যন্ত নিপুণ ভাবে সহজে হামলা চলতে সক্ষম হবে।

[আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণের ভুয়ো অভিযোগে সন্ন্যাসিনীদের হেনস্তা! কাঠগড়ায় ABVP, তোলপাড় কেরল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement