সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষমেশ কি তবে চাপের মুখে নতিস্বীকার করল মোদি সরকার? সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল দেশ। রাজধানী-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, নাগরিকত্ব প্রমাণে বাবা বা মায়ের কোনও পরিচয়পত্র লাগবে না। এমনকী ক্ষেত্র বিশেষে স্থানীয়দের বক্তব্যকেও প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে। এছাড়া আধার কার্ডকেও মান্যতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে টুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। টুইটে লেখা হয়েছে, নাগরিকত্ব প্রমাণে ১৯৭১ সালের আগের কোনও নথি দেখাতে হবে না। কাউকেই তাঁর বাবা-মা বা তাঁদের পূর্বপুরুষের পরিচয়পত্র বা জন্মের শংসাপত্র দিতে হবে না। নিজের পরিচয়পত্রই এক্ষেত্রে যথেষ্ট। এমনকী আধার কার্ডকেও নাগরিকত্ব প্রমাণের তথ্য তালিকায় মান্যতা দেওয়া হয়েছে। নিরক্ষরদের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁদের কোনও লিখিত নথি দিতে হবে না। এক্ষেত্রে, যদি তাঁদের কাছে নির্দিষ্ট নথি না থাকে, তাহলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নেওয়া হবে। যদি তারা ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারেন, তবে তাঁদের কথাকেই নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, জন্মের তারিখ, স্থান বা এই দুইয়ের কোনও নথি থাকলেই তা দিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা যাবে। এই সংক্রান্ত কোনও নথি থাকলে ভারতীয় কোনও নাগরিককে অযাচিতভাবে হয়রান করা হবে না বা অসুবিধায় ফেলা হবে না।
Indian citizens do not have to prove any ancestry by presenting documents like identity cards, birth certificates etc of parents/grand parents dating back to pre-1971 situation. #CAA2019
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) December 20, 2019
11/n
Illiterate citizens, who may not have any documents, authorities may allow them to produce witnesses or local proofs supported by members of community. A well laid out procedure will be followed.#CAA2019
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) December 20, 2019
12/n
#Citizenship of India may be proved by giving any document relating to date of birth or place of birth or both. Such a list is likely to include a lot of common documents to ensure that no Indian citizen is unduly harassed or put to inconvenience.#CAA2019
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) December 20, 2019
10/n
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পথ দেখিয়েছিল অসম। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। এরপর প্রতিবাদ শুরু হয় দিল্লিতে। CAA’র প্রতিবাদে সরব হয় ছাত্রসমাজ। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া-সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা আন্দোলন শুরু করে। পড়ুয়া ও আমজনতাকে ঠেকাতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের সাহায্য নেয়। প্রতিবাদ করে বেঙ্গালুরুতে আটক হন রামচন্দ্র গুহ। আগুনে ঘি পড়ে। বিদ্বজ্জনেরাও শামিল হন আন্দোলনে। ক্রমে তা ভয়াবহ আকার নেয়। উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এই ঘোষণা কি তবে চাপের মুখে নতিস্বীকার? উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.