ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত দিল্লির। এই প্রথমবার আফ্রিকার (Africa) একাধিক দেশে প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে বা দূত নিয়োগ করতে চলেছে ভারত। চিনের সঙ্গে ভৌগলিক ও সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে কৌশলগত ও কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, চিনা ঋণে গলা অবধি ডোবা দ্বীপরাষ্ট্র জিবৌতিতে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বেজিং। সেই ‘চৈনিক চালে’র পাল্টা দিতেই একাধিক দেশে সামরিক দূত নিয়োগ করছে ভারতীয় সেনা।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলগত অবস্থানের জন্য ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ জিবৌতি। এডেন উপসাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালমুখী জলপথের বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত দেশটিতে রয়েছে চিনের নৌঘাঁটি। এখান থেকে আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনাকে টক্কর দিতে পারবে তারা। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গুজরাট উপকূল থেকে শুরু করে ভারতের গোটা পশ্চিমের সমুদ্রবর্তী এলাকা চিনা রণতরীগুলির আওতায় চলে আসবে। জিবৌতিতে তৈরি নৌঘাঁটিতে দ্রুত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ও সাবমেরিন মোতায়েন করতে চলেছে চিন। ভারত মহাসাগরে লালফৌজের ‘অতি-তৎপরতা’ নয়াদিল্লির মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ইথিওপিয়া, আইভোরি কোস্ট, মোজাম্বিক এবং জিবৌতিতে সেনার দূত নিয়োগ হবে প্রথম দফায়। আফ্রিকার একাধিক দেশে প্রথমবার অ্যাটাশে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও চিনের সঙ্গে কৌশলগত আগ্রাসনের কারণে আগেই জিবৌতিতে সামরিক দূত নিয়োগ করেছিল ভারত। মনে করা হচ্ছে, অ্যাটাশে নিয়োগের ফলে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে লালফৌজের গতিবিধির উপর নজর রাখা আরও সহজ হবে। উল্লেখ্য, আফ্রিকার একাধিক দেশ ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনার বন্ধুত্ব প্রত্যাশী। অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পেতে গভীর আগ্রহ তারা।
পিটিআই সূত্রে খবর, আফ্রিকার দেশগুলি ছাড়াও আগামীতে ফিলিপিন্স, আর্মেনিয়া এবং পোল্যান্ডেও প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে নিয়োগ করবে দিল্লি। পাশাপাশি মস্কো ও লন্ডনের দূতবাসে একজন করে সেনা আধিকারিক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে সাউথ বল্কের। সব ঠিক থাকলে স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর ১৬ জন অ্যাটাশে খুব দ্রুত নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.